ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে সাকিবকে দায়ি করলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক আরভিন

জয়ের খুব কাছে গিয়েও ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার ব্লেজিং মুজারাবানি ও রায়ান বার্লের মুখে ছিল হতাশার ছাপ। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও দারুণ জয়ে উল্লাসেম মক্ত ছিলেন। যদিও সেই উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

মোসাদ্দেক হোসেনের করা শেষ বলটি স্টাম্পের সামনে থেকে বল ধরায় ‘নো’ হয়েছে। এর ফলে মুজারাবানি আউট তো হননি বরং দলকে জেতাতে একটি বাড়তি বলও পেয়ে যান। যা আবার ফ্রি হিটও। এমন সুযোগ পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।

মোসাদ্দেকের করা শেষ বলটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। ফলে ৩ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। অবশ্য শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লের জুটিতে ম্যাচটি ধীরে ধীরে হেলে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ের দিকেই। তবে সাকিবের সরাসরি থ্রোতে উইলিয়ামস আউট হলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

এই রান আউটেই ম্যাচের মোর ঘুরে গেছে বলে মনে করেন ক্রেইগ আরভিন। ম্যাচ জেতার সুযোগ থাকলেও হাতছাড়া হওয়ায় হতাশা প্রকাশ প্রকাশ করেছেন তিনি। আরভিন বলেন, ‘ম্যাচটা জেতার ভালো সুযোগ ছিল আমাদের। তবে বাংলাদেশ খুবই ভালো ফিল্ডিং করেছে। বোলিংটাও ভালো ছিল।’

বিশেষ করে সাকিবের সেই রান আউটের প্রশংসা করে আরভিন বলেন, ‘প্রথমে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। সেখান থেকে উইলিয়ামস খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। রায়ানের সঙ্গে ওর জুটিটা আমাদের জয়ের আশাও জাগিয়ে তুলেছিল। কিন্তু শেষ দিকে সাকিবের দারুণ ফিল্ডিং খেলাটা ঘুরিয়ে দিল।’

এমন নাটকীয়তার ম্যাচ এর আগে বিশ্ব ক্রিকেট কবে দেখেছে সেটা খুঁজতে হলেও ঘাটতে হবে পরিসংখ্যান। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাইকেল আথারটন তো নিজের বিস্ময় লুকাতেই পারেননি। তিনি আরভিনকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, ‘এমন কিছু আমি আগে দেখিনি, আপনি দেখেছেন?’

আরভিনের উত্তর ছিল, ‘না, আমিও আমার ক্রিকেটজীবনে এমন কিছু কখনো দেখিনি। কোথাও শুনিওনি। মনে হচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপ সবই দেখাচ্ছে।’