ঘূর্ণিঝড় চলে গেছে কিন্তু চার দিনেও বিদ্যুৎ আসেনি

লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুতের দাবিতে গাছের গুড়ি ফেলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পিয়ারাপুর এলাকায় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কটি অবরোধ করে রাখে স্থানীয় বাসিন্দারা। এসময় সড়কের দু’পাশে ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এর আগে ৪২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়েছে। পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে সদরের ভবানীগঞ্জ, লাহারকান্দি ও চররুহিতাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের দুইদিন শেষ হলেও এসব এলাকায় বুধবার রাত প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। এতে ৪ দিন ধরে এসব এলাকায় বিদ্যুতের আলো জ্বলেনি।

বিক্ষুব্ধরা জানিয়েছে, টানা ৪ দিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসসহ খাবার সামগ্রীতে পচন ধরেছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়তে বসতে পারছে না। পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে আছে। গত রাতে কয়েকটি এলাকায় চুরিও হয়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা ৩ দিন ধরে বেকার হয়ে পড়েছে। অনেকের ঘরে খাবারও নেই বলে জানিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।

চররুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন শিমুল বলেন, রোববার রাতে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এরপর থেকে আমরা অন্ধকারে রয়েছি। দুইদিন হয়েছে ঘূর্ণিঝড় শেষ হলো। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। মোবাইলে চার্জ নেই। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) জসিম উদ্দিন বলেন, পল্লী বিদ্যুতের জিএমের সঙ্গে কথা বলেছি। রাত ৯টার দিকে এসে তারা কাজ করবেন। এরপর বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পরে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জাকির হোসেন বলেন, আমাদের ৩৬৫টি খুঁটি ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে গেছে। ৪৫০টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এসব মেরামত করতে অনেক জনবল প্রয়োজন। জনবলের কারণে বিভিন্নস্থানে কাজ করা এখনও সম্ভব হয়নি। চেষ্টা করছি খুব দ্রুত প্রত্যেকটি স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হবে।