বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে বিশ্ব দেখেছে কুইন্টন ডি ককের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ঝড়। কুইন্টন ডি ককের খুনে ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একেবারে জয়ের দুয়ারে গিয়ে স্বপ্ন ভাঙে দক্ষিণ আফ্রিকার। তাতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে থেকেও পয়েন্ট হারাতে হয়েছে তাদেরকে। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই সাউথ আফ্রিকার। এদিকে সাকিব আল হাসান মনে করেন, এটি প্রোটিয়াদের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ।
বৃষ্টির কারণে আড়াই ঘণ্টা পর শুরু হওয়া ম্যাচে ওয়েসলি মাধেভেরে ও মিল্টন শুম্বার ব্যাটে ৭৯ রানের পুঁজি পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। লক্ষ্য তাড়ায় দুর্দান্ত শুরুও করেছিল সাউথ আফ্রিকা। টেন্ডাই চাতারার প্রথম ওভারে চারটি চারের সঙ্গে এক ছক্কা মেরে ২৭ রান তোলেন ডি কিক।
পরের ওভারে এক বল যেতেই হানা দেয় বৃষ্টি। সেটা পেরিয়ে আবারও খেলা শুরু হলে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৬৪ রান। রিচার্ড এনগারাভার ওভারেও নিজের বিধ্বংসী রূপে ছিলেন ডি কক। তাতে প্রথম দুই ওভারে তোলেন ৪০ রান। বৃষ্টির কারণে খেলা শেষ হবার আগে সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ ওভারে ৫১ রান।
জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে আবারও বৃষ্টি হানা দিলে পরিত্যক্ত করা ম্যাচটি। তাতেই এক পয়েন্ট খোয়াতে জয় প্রোটিয়াদের। শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ের টিকে থাকতে তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততেই হবে সাউথ আফ্রিকাকে। যে কারণে বাভুমারা খানিকটা চাপে থাকবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা উভয় দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বিশেষ করে সাউথ আফ্রিকার জন্য, যারা কিনা প্রথম ম্যাচে দুই পয়েন্ট আশা করেছিল। তাদের জন্য এটা বাঁচা-মরার ম্যাচ। তারা কিছুটা চাপের মধ্যে থাকবে। আমরা ইতোমধ্যে জয় পেয়েছি এবং আমরা এমন একটি মাঠে খেলতে যাচ্ছি যেখানে স্পিনারদের সহায়তা করে। আইসিসি সাধারণত বিশ্বকাপে স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করার চেষ্টা করে যেখানে সবাই সুবিধা পায়।’
ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মদনা ব্যাপকহারে। জয়ের মাঝে না থাকলেও দলকে সমর্থন দিতে মাঠে ছুটে আসেন সমর্থকরা। ব্যতিক্রম হয়নি হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সিডনিতে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি বাস করায় মাঠে আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার আশায় সাকিব। সেই সঙ্গে সাউথ আফ্রিকার বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার থাকলেও নিজেদের সেরাটা দিতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, ‘তাদের বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে কিন্তু আমরা আমাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। অন্য ফরম্যাটে হলেও তাদের সঙ্গে সম্প্রতি আমাদের বেশ কিছু ভালো স্মৃতি আছে। এটা অবশ্যই আমাদের মানসিকভাবে সহায়তা করবে। আমরা খোলা মনে থেকে খেলাটা উপভোগ করতে চাই। সিডনিতে প্রচুর বাংলাদেশি থাকায় আমরা বিপুল সমর্থনের জন্য আশাবাদী।’