২০১৩ সালে নিউ জার্সির গভীর সমুদ্রে নামলেন পল হেপলার। তিনি পেশায় একজন ডুবুরি। ম্যাগনেটোমিটার নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতা মাপতেই নেমেছিলেন পল।
ম্যাগনেটোমিটারের সিগনালে বদল আসায় পল বুঝতে পারেন, পানির গভীরে ধাতব কোনো বস্তু রয়েছে যা আয়তনেও বিশাল। রহস্য সমাধানে আরো গভীরে নামলেন পল। সমুদ্রের ৯০ ফুট (২৭ মিটার) গভীরে খুঁজে পেলেন দুইটি লোকোমোটিভ স্টিম ইঞ্জিন। সমুদ্রের তলায় তো কোনো রেললাইন নেই! তা হলে এই ইঞ্জিন দুইটি এখানে এলো কীভাবে?
নিউ জার্সির লং ব্রাঞ্চ উপকূল থেকে আট কিলোমিটার দূরে এই রেল ইঞ্জিন দুইটি পাওয়া গিয়েছিল। পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে জানা যায়, ইঞ্জিন দুইটি প্রায় ১৬০ বছরের পুরনো। ইতিহাসের পাতায় এই বিষয়ে কোনো তথ্য থাকতে পারে ভেবে ইতিহাসবিদেরা খোঁজ নেন। কিন্তু পাওয়া গেল না কিছুই। লোকোমোটিভের যে মডেলটি পাওয়া গিয়েছিল, সেটি খুব সহজলভ্যও ছিল না। ক্লাস ২-২-২-টি মডেলের এই লোকোমোটিভটি খুব কম সময়ের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
সাধারণত স্টিম ইঞ্জিনের ওজন ৩১ হাজার ৭৫১ কেজি। সেই তুলনায় এর ওজন খুবই কম। দেখা যায়, এর ওজন মাত্র ১৩,৬০৭ কেজি। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, এই ইঞ্জিনগুলো জাহাজে করে বস্টন থেকে মধ্য আটলান্টিকের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাদের অনুমান, ইঞ্জিনগুলো নিয়ে যাওয়ার পথে জাহাজটি ঝড়ের সম্মুখীন হয়। এর ফলে, ইঞ্জিন দুইটি পানির গভীরে তলিয়ে যায়। তবে ইতিহাসবিদরাই বলছেন, এই অনুমান সঠিক না হতেও পারে। হয়তো সমুদ্রের মাঝে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এই ইঞ্জিন দুইটি। নিউ জার্সি ট্রান্সপোর্টেশন মিউজিয়ামের তরফে এই দুইটি রেল ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হয়েছে।