বাংলা সিনেমাতে একটা সময় কমেডিয়ান হিসেবে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল দিলদারের। শুধু কমেডিয়ান বললে অবশ্য কমতি হয়ে যাব’ে। কমেডিয়ানদের হিরো বলা যায় দিলদারকে। নায়ক কিংবা ভিলেনদের জনপ্রিয়তার চেয়ে কোনো অংশে কম জনপ্রিয়তা ছিল না দিলদারের। গতকাল (১৩ জুলাই)
দিলদারের সতেরতম মৃ’ত্যুবার্ষিকী’’ পার হয়। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ৫৮ বছর বয়সে পরপারে পারি জমান এই গু’ণী অ’ভিনেতা। দর্শকদের মনে আনন্দের খোরাক জোগানো দিলদার ২০ বছর বয়সে তার অ’ভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। কমেডিয়ান হিসেবে জনপ্রিয়তার তু’ঙ্গে থাকা দিলদার পেয়েছিলেন জাতিয় চলচিত্র পুরস্কারও।
সম্প্রতি পরিচালক মালেক আফসারি ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দিলদারের স্মৃ’তি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ‘’ তখন উত্তরার দিকে শুটিং করছিলাম। শুটিং সেটে ফিল্মের দুজন সুপারস্টার বসে আছেন।
তাঁদের ঘিরে ভক্তরা অটোগ্রাফের জন্য হু’মড়ি খেয়ে পড়েছেন। কোনোভাবেই ভিড় সরানো যাচ্ছে না। এমন সময় শুটিং সেটে দিলদার চলে আসেন। দিলদার নামটি শুনে প্রায় সব দর্শক হু’মড়ি খেয়ে দিলদারের কাছে ভিড় জমান।‘’
দিলদারের জনপ্রিয়তার যখন এই হাল তখন মৃ’ত্যুর সতের বছর পরও প্রযোজকদের কাছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা এখনও পাওনা রয়েছে দিলদার। দিলদারের বড় মে’য়ে দন্তচিকিৎসক ডাঃ মাসুমা আক্তার রুমা জানান বিভিন্ন প্রযোজকের কাছে দিলদার ৮০ লক্ষ টাকা এখনো পাওনা। মাসুমা’র ভাষ্য,’’ বাবা কখনো কারও কাছে এক-দুবারের বেশি টাকা চাইতেন না।
এ জন্য তিনি বেশির ভাগ সময় পারিশ্রমিক অগ্রিম নিয়ে নিতেন। কিন্তু অনেক সময় পরিচিত, কাছের প্রযোজকদের কাছে অগ্রিম টাকা চাইতেন না। এভাবে বাবার পাওনা ৮০ লাখ টাকা জমা হয়েছে। ওই সময় প্রযোজকদের কাছ থেকে বাবার পাওয়া ৩৫ লাখ টাকার চেক বাসায় ছিল, সেই টাকাও ওই সময় আম’রা পাইনি।
শুধু তাই নয় দিলদার নায়ক হিসেবে আব্দুল্লাহ ছবিতে অ’ভিনয় করার সময় পরিচালক জানান যদি ছবি হিট হয় তাহলে দিলদারকে ১০ লক্ষ টাকা দিবে। যদি ফ্লপ হয় তাহলে কোনো টাকা দিবে না। কিন্তু পরবর্তীতে ছবি হিট হলেও সেই ১০ লক্ষ টাকাও পায়নি বলে জানান দিলদারের বর মে’য়ে ডাঃ মাসুমা।