টি-২০ বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলা যায়, অধিনায়কের ভরসার জায়গা ছিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। কিন্তু ত্রিদেশীয় সিরিজে সেই সাইফউদ্দিনই হয়ে উঠলেন ‘খলনায়ক’!
ত্রিদেশীয় সিরিজের পুরো আসরে শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষেই তুলনামূলক ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা যা-ও ছিলো, তাও ধূলোয় মিশিয়ে দিলো সাইফউদ্দিনের ক্যাচ মিস ও লাগামহীন বোলিং।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে শুরুতে ভালোই পরীক্ষা দিতে হয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটারদের। প্রথম ১০ ওভারে উইকেট না হারালেও পাকিস্তান ছিলো ভীষণ অস্বস্তিতে। তাসকিন-শরিফুল-হাসান মাহমুদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ ১০ ওভারে তাদের দরকার পড়ে ১০১ রান। বেশ কঠিনই ছিল।
পাকিস্তান তখন বেশ চাপে। এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে শরিফুল ইসলামের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বল উড়ে যাচ্ছে ফিল্ডারের ববাবর, ধরলেই ক্যাচ। অথচ এমন ক্যাচও হাত থেকে ফেলে দিলেন সাইফউদ্দিন।
পরের ওভারে শাপপোচনের সুযোগ আসে তার সামনে। তবে বল হাতে নিয়ে যাচ্ছেতাই বোলিং করেন এই অলরাউন্ডার। সেই ওভারে একটি ‘নো’সহ ১৯ রান খরচ করেন সাইফউদ্দিন। তাতে পাকিস্তানও হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।
ম্যাচে নিজের পুরো বোলিং কোটাও পূরণ করতে পারেননি তিনি। ৩.৫ ওভার বল করে খরচ করেছেন ৫৩ রান। উইকেট পাননি একটিও। যার ক্যাচ ছেড়েছেন, সেই রিজওয়ান খেলেছেন ৫৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৬৯ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।
একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার যেকোনো দলের জন্য আর্শীবাদস্বরূপ। সাকিবের কাছেও ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু সাইফ কি করলেন? অধিনায়কের ভরসা থেকে হয়ে গেলেন খলনায়ক। বিশ্বকাপে কি করেন, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা কেবল।