মিডলঅর্ডার যেভাবে ম্যাচের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন, সেটি ধরে রাখতে পারেননি টেলএন্ডারের কোনো ব্যাটসম্যান। লিটন-সাকিবের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। তারা আউট হওয়ার পর যারা ক্রিজে এসেছেন, তারা ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে। ফল যা হওয়ার তাই। ১৭৪-এর বেশি টার্গেট দিতে পারেননি টাইগাররা।
শেষ তিন ওভারে রান এসেছে ২০। লিটন-সাকিব প্রায় ৯ করে রানরেট রেখে খেলছিলেন। হাতে উইকেটও পর্যাপ্ত ছিল। কিন্তু বড় কোনো শট খেলতে পারেননি পরের ব্যাটসম্যানরা।
১৪ ওভার তিন বলে লিটন দাস আউট হওয়ার পরও রানের চাকা সচল রেখেছেন সাকিব। বড় শটও খেলেছেন।
কিন্তু তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। সাকিব আউট হওয়ার পর আফিফ হোসেনের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন ক্রিকেটভক্তরা। কিন্তু আফিফও আজ নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১১ রান করেছেন। বল খরচা করেছেন ১০টি।
এর পরের তিন ব্যাটার মিলে করেছেন ৪ রান।
সাকিব-লিটন যেভাবে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে স্কোর ১৯০-এর কাছাকাছি যাওয়া অস্বাভাবিক ছিল না!
এর আগে শুরুতে ব্যর্থ হয় উদ্বোধনী জুটিও। তৃতীয় ওভারে দলীয় মাত্র ৭ রানের মাথায় সৌম্য বিদায় নেন। ১২ রানের বেশি করতে পারেননি শান্ত।
লিটন-সাকিব ছাড়া বাকি ৬ ব্যাটার মিলে করেছেন ৩১ রান।
সাকিবের উইলো থেকে এসেছে ৬৮ রান। বল খরচ করেছেন ৪২টি। সাত চার ও ৩ ছয়ে সাজানো তার ইনিংসটি বাঁধিয়ে রাখার মতো।
লিটন দাস করেছেন সর্বোচ্চ ৬৯ রান। বল খেলেছেন ৪২টি।
বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ১৭৩ রানে। উইকেট পড়েছে ৬টি।