ত্রিদেশীয় সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে আজ বুধবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। কিউইদের দেওয়া পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে সাকিব আল হাসান ছাড়া বড় রান করতে পারেননি কোনো ব্যাটার। এদিন ৪৪ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলার পথে এই অধিনায়ক টপকে গিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সর্বোচ্চ রানকে।
এর আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন সাবেক অধিনায়ক রিয়াদ। তবে ক্রাইস্টচার্চে আজ রিয়াদকে পেছনে ফেলে ছোট ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৭০ রান করার ফলে টি-টোয়েন্টিতে এই মুহুর্তে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ উইকেট, এবং সর্বোচ্চ অর্ধশতকের একক মালিক সাকিব। বলা যায় টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের প্রায় সব রেকর্ডই এখন সাকিবের।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, সাকিব টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ খেলেছেন ১০৩টি, রান করেছেন ২১৩১, বল খেলেছেন ১৭৫৩টি। স্ট্রাইকরেট ১২১.৫৬ এবং ব্যাটিং গড় ২৩.৪২। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সাকিব উইকেট নিয়েছেন ১২২টি, ইকোনমি ৬.৭১ বল করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টিতে ১১টি অর্ধ-শতক এই অলরাউন্ডারের।
এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক থেকে সাকিবের ঠিক পেছনেই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২১২১ রান করে, খেলেছেন ১৮১০ বল। ম্যাচ খেলেছেন ১২১টি, স্ট্রাইকরেট ১১৭.১৮, গড় ২৩.৫৭। রিয়াদের অর্ধ-শতক টি-টোয়েন্টিতে ৬টি। টাইগারদের টি-টোয়েন্টি দলের সাবেক ওপেনার তামিম ইকবালের রান টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫৮, বল মোকাবেলা করেছেন ১৫০০টি। ১১৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে, গড় ২৪.০৮, অর্ধ-শতক করেছেন ৭টি।
সাবেক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম করেছেন ১৫০০ রান, ১৩০৫ বল খেলে। অর্ধ-শতক করেছেন ৬টি। গড় ১৯.২৩, স্ট্রাইকরেট ১১৪.৯৪। লিটন দাস এই ফরম্যাটে ৫৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ১১৬৯ রান, বল খেলেছেন ৯৩০টি। অর্ধ-শতক ৬টি। টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের ১২২ উইকেটের পরে অবস্থান করছেন দলের তারকা পেসার মুস্তফিজুর রহমান। তার উইকেট সংখ্যা এখন ৯৪ টি।