বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া লিখিত জবাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জানিয়েছেন স্ত্রীর করা মামলার আসামি আল-আমিন আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, গত ২৫ আগস্ট তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী তালাক সংক্রান্ত কোনো কাগজ পাননি।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইসরাত জাহান। মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিয়ে হয় আল-আমিন ও ইসরাতের। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না এবং খোঁজ না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন।
গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল-আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
এই মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে ২৭ সেপ্টেম্বর জামিন পান আল-আমিন। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।