খালাকে বঁটির আঘাতে হত্যা, ভাগ্নের যাবজ্জীবন

বগুড়ার আদমদীঘিতে জমি নিয়ে বিরোধে খালা জোস্না বেগমকে বঁটি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে ভাগ্নে মো. বুলু (৪১)। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুরে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মণ্ডল আদালতে এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাসিমুল করিম হলি ও আদালত সূত্র জানায়, মো. বুলু আদমদীঘি উপজেলার তালশন পশ্চিমপাড়ার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। আপন খালা একই গ্রামের আবদুল মান্নানের স্ত্রী জোস্না বেগমের সাথে বুলুর জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ৩ মে দুপুরে বুলু ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো বঁটি দিয়ে খালা জোস্নাকে বেগমের শরীরে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় জোস্নাকে উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে স্বামী আবদুল মান্নান আদমদীঘি থানায় ঘাতক বুলুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। গ্রেফতারের পর বুলু জামিনে ছাড়া পান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদমদীঘি থানার তৎকালীন এসআই রফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালের ৮ জুলাই আদালতে একমাত্র আসামি বুলুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ নয় বছর সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত সোমবার দুপুরে এ সাজা ঘোষণা করেন।

এ সময় আসামি বুলু আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ মামলা পরিচালনা করেন।