১৭ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে গিয়েই জিতল ইংল্যান্ড।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজে বাবর আজমদের হতাশায় ডুবিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জিতল মঈন আলির দল। এ ম্যাচের আগে ৩-৩ সমতায় ছিল সিরিজটি।
যে কারণে লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।
আর এমন ম্যাচেই ব্যাটে দ্যুতি ছড়ালেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। মাত্র ৩ উইকেটে ২০৯ রান তোলেন ইংলিশরা। ৪৭ বলে ৭৮ অপরাজিত রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড মালান।
আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশাল টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হয় পাকিস্তানের মিডলঅর্ডার ও টেলএন্ডাররা। এবার ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার বাবর-রিজওয়ানের জুটিও। এ জুটি করে মাত্র ৫ রান!
ফল ৬৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে ট্রফি বঞ্চিত হয়েছে পাকিস্তান।
এ পরাজয়ের পর পাকিস্তান অধিনায়ক বুঝতে পেরেছেন মিডলঅর্ডার ব্যাটিং নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে বাবর আজম বলেছেন, ‘আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। মিডলঅর্ডারের চাপটা আমাদের (ওপেনার) ওপরও পড়ে। এ নিয়ে কোচদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, কথা হবে। আসলে এই সিরিজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’
মিডলঅর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও দলের বোলিং নিয়ে খুশি বাবর। বিশেষ করে হারিস রউফের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
বাবর বললেন, ‘আমাদের বোলিং আক্রমণ ভালো। হারিস ভালো বোলিং করছে। প্রতিদিনই সে উন্নতি করছে।’
প্রসঙ্গত ইনিংসের শুরুতে ১২ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরেছিলেন বাবর (৪) ও রিজওয়ান (১)। এমন অবস্থায় মিডলঅর্ডারের ভালো পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ ছিল।
কিন্তু শান মাসুদের ৪৩ বলে ৫৬ রান ছাড়া আর কেউই স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেননি। খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ টিকে গেলেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি। বাকি ব্যাটাররা দুই অংকের ঘরেই পৌঁছতে পারেননি।
ফলে ইংল্যান্ডের ২০৯ রানের জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করতে পারে ১৪২ রান।