বাংলাদেশের এবার প্রথমপর্ব খেলতে হবে না। সেরা আট দলের মধ্যে থাকায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার টুয়েলভে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বাঘা বাঘা দল। এদের পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়া নেওয়া কঠিনই হবে বাংলাদেশের জন্য। তবে সুপার টুয়েলভপর্বে দুটি দলের নাম এখনও অজানা বাংলাদেশের। প্রথমপর্ব থেকে আসা দুটি দল জায়গা করে নেবে সেখানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার মতো বড় দলও খেলছে প্রথমপর্ব। তাই সুপার টুয়েলভে টাইগারদের গ্রুপে প্রথমপর্ব পেরিয়ে আসা দলটিও হতে পারে কঠিন প্রতিপক্ষ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি কোনো একটি ম্যাচও জিততে না পারে? টাইগার ভক্তরা হতাশ হবে নিঃসন্দেহে। তবে যেহেতু সুপার টুয়েলভপর্বে নাম লেখানো হয়েই গেছে। তাই একদম খালি হাতে ফিরতে হবে না বাংলাদেশকে।
আজ (শুক্রবার) আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সব দল মিলিয়ে মোট প্রাইজমানির পরিমাণ ৫.৬ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৬ কোটি টাকা।
মেলবোর্নে ১৩ নভেম্বর শিরোপা উঁচিয়ে ধরা দলটি পাবে ১.৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৬ কোটি টাকা। রানার্সআপ দল পাবে চ্যাম্পিয়ন দলের অর্ধেক অর্থাৎ ৮ কোটি টাকা (৮ লাখ ডলার)।
৪৫ ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে উঠতে পারলেই ৪ লাখ ডলার নিশ্চিত। অর্থাৎ চারটি দল পাবে ৪ কোটি টাকা করে।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতোই সুপার টুয়েলভ খেলা আট দল প্রত্যেকে পাবে ৭০ হাজার ডলার করে (৭০ লাখ টাকা)। অর্থাৎ বাংলাদেশ বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও না জিততে পারলেও এই পরিমাণ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরবে।
আর প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য আলাদা প্রাইজমানি তো থাকছেই। একটি ম্যাচ জিততে পারলে সুপার টুয়েলভ পর্বের প্রতিটি দল পাবে ৪০ হাজার ডলার বা ৪০ লাখ টাকা করে।
তাই সুপার টুয়েলভপর্বে যত ম্যাচ জিততে পারবে টাইগাররা, টাকার অংক তত বাড়বে। নিদেনপক্ষে একটি ম্যাচও জিততে পারলে কোটি টাকা (৭০+৪০=১ কোটি ১০ লাখ) নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে সাকিব আল হাসানের দল।
কিন্তু লক্ষ্যটা কেন এত ছোট কিছুতে আটকে থাকবে? চ্যাম্পিয়ন হলে তো ১৬ কোটি টাকা পাবেন সাকিবরা। তার আগে ম্যাচ জয় আর সুপার টুয়েলভ ও সেমিফাইনালের প্রাইজমানি তো থাকছেই। এবার বড় কিছুই হোক না!