টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য গত ১৪ সেপ্টেম্বর ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা আগেই করেছিলো বিসিবি। সেখানে স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছিল আরও চারজন ক্রিকেটার। তাদেরকে নিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতেই দুবাই গিয়ে চলেছে নানা পরীক্ষা-নিরিক্ষা।
যেখানে স্ট্যান্ডবাই থাকা দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন সুযোগ পেয়েছেন সেরা একাদশে। তখনই প্রশ্ন আসে চূড়ান্ত দল ঘোষণার পর কেন বাজিয়ে দেখা হচ্ছে অন্যদের? তাহলে কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে যাচ্ছে তারা।
বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দুবাই সিরিজ শেষে দেশে ফিরে বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের ১৮-২০ জনের একটি স্কোয়াড আছে। এদের মধ্যে যে কারোরই দলে ঢোকার সুযোগ আছে। কারণ এটি একটি বড় আসর’।
এছাড়াও সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘আমার ধারণা এখন খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখা হচ্ছে। তিন জাতি সিরিজে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এরপরই দল ঠিক করবে’।
এখানে একটা জিনিস পরিষ্কার বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলে আসতে পারে পরিবর্তন। তবে সব কিছু নির্ভর করছে নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন, তিন ম্যাচে ব্যর্থ সাব্বির রহমান আর অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনে নাকি সন্তুষ্ট নয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
তাদের জায়গায় আসতে পারেন সৌম্য সরকার কিংবা শরিফুলরা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দল ঘোষণার পর কিভাবে পরিবর্তন সম্ভব? গত ১৫ সেপ্টেম্বর দল ঘোষণা শেষ দিন বেঁধে দিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও দলের পরিবর্তন আনার সুযোগ পাবে প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ড।
সরাসরি সুপার টুয়েলভ খেলা আট দল ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে দলে। এর জন্য আইসিসির কোনো অনুমতি নিতে হবে না। কিংবা এজন্য কারো ইনজুরিতে পরার দরকার নাই।
কিন্তু ১৫ অক্টোবরের পর যদি পরির্তন আনতে হয় সেক্ষত্রে টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন পরবে। তাইতো বাংলাদেশ দলে কার কপাল পুড়ছে কিংবা শেষ মুহূর্তে কে পাবেন টিকিট, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে তিন জাতি সিরিজের শেষ পর্যন্ত।