‘বাচ্চা মারা গেছে’ জানানোর পর অটোরিকশায় সন্তান প্রসব

সিএনজি অটোরিকশায় সন্তান প্রসব করেছেন এক নারী। তবে সন্তান ও মা সুস্থ রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এমনটা হয়েছে।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, আইসিইউ সুবিধা না থাকায় অন্য হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাদের।

গাজীপুরের টঙ্গীর টিএনটি এলাকার প্রসূতি ফাতেমা আক্তারের সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রসবব্যথা শুরু হয়। নরমাল ডেলিভারিতে ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই নারীকে নেয়া হয় টঙ্গীর মাইশা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে গর্ভের বাচ্চার পালস মেলেনি।

তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে আইসিইউ সুবিধা আছে এমন হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয় ৷ পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেয়ার জন্য সিএনজিতে ওঠানো হলে সেখানেই সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। সিএনজিতে সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্বজনদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই সিএনজিতে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতাল থেকে জানিয়েছে বাচ্চা মারা গেছে অন্য জায়গায় নিয়ে যাও। অথচ তারা টাকা-পয়সা সব রেখে দিয়েছে।

মাইশা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ওমর ফারুক জানান, বাচ্চা ও তার মায়ের পরিস্থিতি জটিল থাকায় তাদের আইসিইউ এবং এনআইসিউ সুবিধা আছে এমন হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই সুবিধা আমাদের এখানে নেই। এখন নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চা ডেলিভারি হয়েছে। তবে এখন বাচ্চা ও বাচ্চার মা ভালো আছে।

এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।