নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মত সাফ চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ফাইনালের আগে বাংলাদেশ দলের রাইট উইঙ্গার সানজিদা আক্তার আক্ষেপ করে বলেছিলেন ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে। তারা জিততে চান শুধু। তবে তার এই আক্ষেপ পূরণ করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব(উপসচিব) আবু নাছের ভুঁইয়া ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সানজিদার ভাইরাল হওয়া পোস্টটি মন্ত্রী মহোদয়ের নজরে আসে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে তিনি নিজেই চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের জন্য ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসের ব্যবস্থাই করেছেন। এই বাসে চড়েই এয়ারপোর্ট থেকে ট্রফি নিয়ে বের হবে মেয়েরা।
সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে উড়িয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
নেপালকে তাদেরই মাটিতে উড়িয়ে দিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অবিস্মরণীয় গৌরব অর্জন করায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
এক অভিনন্দন বার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যে দিয়ে বিশ্ব নারী ফুটবলে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা সূচিত হলো। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মধ্যে দিয়ে আমাদের বাঘিনীরা তাদের সক্ষমতা আবারো প্রমাণ করেছে। নিঃসন্দেহে এটি দেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। আমি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা আজ কোটি বাঙালির স্বপ্ন ছুঁয়েছে। সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’