কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনের হাত ধরে ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর তাদের অবসরে যেন ভেঙে পড়ে লঙ্কানরা। দল গুছিয়ে নিতে বেশকাট খড় পোড়ায়দলটি।
এরমধ্যে কেটে যায় আট বছর, বড় কোনো টুর্নামেন্টে আর শিরোপা জেতে না দলটি। অবশেষে চলতি এশিয়া কাপে এসে অচলায়তন ভাঙে লঙ্কান সিংহরা। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে দুবাইতে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জিতে নেয় দাসুন শানাকারা।
টুর্নামেন্টের শুরুতে ফেভারিটের তালিকায় শ্রীলঙ্কা ছিল সবার নিচে শূন্য শতাংশ হার নিয়ে। সেই লঙ্কানরা নিজেদের প্রমাণ করে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেই চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে মাখিয়েছে। লঙ্কান সিংহদের এই প্রচেষ্টার জন্য তাদের কুর্নিশ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে শ্রীলঙ্কাকে অভিনন্দন জানিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক লিখেছেন,
‘সিংহ কিন্তু বলেনা যে, আমি বনের রাজা, সে স্রেফ মনে মনে ভাবে আমি বনের রাজা,ব্যাস এতোটুকুই তার জন্য যথেস্ট। ১৯৯৬ থেকেই তারা বুঝে গেছে কি ভাবে ক্রিকেট খেলতে হবে।
অর্জুনা রানাতুঙ্গা, অরবিন্দ ডি সিলভা, গুরুসিংহে, চামিন্দা ভাস, ধর্মসেনা, মুত্তিয়া মুরালিধরন, সনাথ জয়সুরিয়া, রোশন মহানামা, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে এতসব কিংবদন্তিরা না থাকলেও তাদের ঘুরে দাঁড়ানো স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
শ্রীলংকার এই প্রজন্মও হয়তো আগামিতে আরও বড় কিছু করে ফেললেও অবাক হওয়ার কিছু নাই। প্রথম ম্যাচে হয়তো নিজেরাও হতাশ হয়েছে, কিন্তু পরে পুরো টুর্নামেন্ট যেভাবে খেলেছে তা স্রেফ দারুন খেলেছে বললে ভুল হবে বরং অন্যদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিতে বাধ্য করেছে। আর ঐ ভয়টুকুই ট্রফি জেতার জন্য যথেস্ট।
দেশের পরিস্থিতিকে এক পাশে রেখে খেলার মাঠে যা করেছে তার জন্য কুর্নিশ শ্রীলংকানদের। কি কোচিং, সাহস, ধারাবাহিকতা, দারুণ ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক এবং খেলোয়াড়দের শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের মনোভাব এক কথায় অসাধারন।