প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। নামাজের মোনাজাতের পরপরই শুরু হয় রহমতের বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এ নামাজ আদায় করা হয়।উপজেলার আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের উদ্যোগে সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান রবের কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। নামাজে ইমামতি করেন- আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ওসমান গণি। মূলত এই নামাজের মোনাজাতের পরপরই মাঠে নেমে আসে রহমতের বৃষ্টি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান প্রচণ্ড দাবদাহে লোহাগাড়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে জনজীবন। মানুষের মাঝে নেমে আসছে চরম দুর্ভোগ, রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গ্রামীণ জনপদের পুকুর ও ডোবায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট।
এছাড়া কোথাও কোথাও নলকূপের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। বর্ষা শেষ হলেও নেই বৃষ্টির দেখা। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল, দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। কোথাও দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। তাই এ অনাবৃষ্টি থেকে উদ্ধার পেতে ও রহমতের বৃষ্টির জন্য এলাকাবাসীর আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করেন।
নামাজ শেষে হাজারো মুসল্লি আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে কান্নাকাটি করেন। অনাবৃষ্টি ও খরা থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আর এর পরপরই শুরু হয় রহমতের বৃষ্টি।
আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, অনাবৃষ্টির কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাই আধুনগর কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ খালেদ জামিল ও এলাকাবাসীর সাথে পরামর্শক্রমে সালাতুল ইসতিসকার আয়োজন করা হয়। আলহামদুলিল্লাহ, নামাজের পরপরই রহমতের বৃষ্টি শুরু হয়।