দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আগের দিন ৫ হাজার ৮৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ২৫৮ জন। এ সময়ে সংক্রমণ কমেছে দশমিক ২৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আজ (শুক্রবার) সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১৫ শতাংশে। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। আগের দিনও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গিয়েছিল। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩২১ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৯১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ১০ হাজার ৯৪৪ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২২ শতাংশ। গতকালও (বৃহস্পতিবার) সুস্থতার হার ছিল ৯৭ দশমিক ২২ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।