গভীর রাতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন সেই শিক্ষিকার স্বামী, বাড়ছে রহস্য

বিয়ের প্রায় ৮ মাস ২ দিন পরই কলেজছাত্র মো. মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পুলিশের ধারণা এটি আত্মহত্যা হলেও এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়াবাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ৩টার দিকে শিক্ষিকার স্বামী মামুন এলাকাবাসীকে ডেকে বলেন, ‘তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে’।

এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরের মেঝেতে মরদেহ দেখতে পান। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে সংবাদ দেয়। এরই মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য দিয়েছেন মামুন হোসাইন।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, নাটোর সদরের বালারিপাড়ায় তাদের ভাড়া করা বাড়িতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। রাতে স্বামী স্ত্রী দুজনে এক সঙ্গেই ছিলেন। গভীর রাত ২টার দিকে ছেলেটি বাড়ির বাইরে যায়। দারোয়ানও সেটা জানিয়েছে। এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে সে দেখে যে ঘরের দরজা খোলা ও খায়রুন নাহার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন। সেসময় হাতের কাছে ধারালো কিছু না পেয়ে ছেলেটি লাইটার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ওড়না পুড়িয়ে তাকে নিচে নামিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মামুন হোসাইন কেন গভীর রাতে ঘরের বাইরে গিয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে মৃত খায়রুন নাহারের গলায় দাগ রয়েছে তবে শরীরে অন্য কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

এর আগে গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।