এশিয়া কাপের মূল একাদশে মাহমুদুল্লাহর জায়গা পাওয়া নিয়ে আছে সন্দেহ!

দেশের ক্রিকেটের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন পঞ্চপান্ডবের একজন তিনি। বাংলাদেশের বহু ইতিহাস গঠনের অন্যতম কারিগরও তিনি। ইংলিশদের হারিয়ে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা কিংবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়া, এরকম কতই না অর্জন রয়েছে এই ক্রিকেটারের। কথা বলা হচ্ছে সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের।

তবে এখন আর ব্যাটে বলে সে আগের রিয়াদকে পাওয়া যায় না। হয়তো এটাই নিয়তির খেলা, এভাবেই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধীরে ধীরে রিয়াদ অধ্যায়ের সমাপ্তি হবে। বিগত জিম্বাবুয়ে সিরিজে হারিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব, দল থেকেও বাদ পড়তে হয়েছিল দু ম্যাচের জন্য। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেও করে দেখাতে পারেনি বিশেষ কিছু। তারপরও এক হালি ক্রিকেটারের ইনজুরির সুবাদে শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপের দলে টিকে গেলেন রিয়াদ।

এখন প্রশ্ন হলো মূল একাদশে রিয়াদের খেলার সম্ভাবনা কতটুকু? সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি বলা যায়। ইয়াসির আলী রাব্বি, লিটন কুমার দাস ইনজুরিতে না পড়লে হয়তো স্কোয়াডে জায়গাই হতো না রিয়াদের। রিয়াদের জায়গাটি চলে যেত রাব্বির কাছে। তবে রাব্বি চোটে পড়ায় একাদশে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে রিয়াদের। অপরদিকে স্কোয়াডে ডাক পাওয়া সোহানও পুরোপুরি ফিট নয়।

তিনি যদি পুরোপুরি ফিট থাকেন তাহলে হয়তো তাকে দিয়েই রিয়াদের জায়গা পূরণের চেষ্টা করতে পারেন টিম ম্যানেজমেন্ট। এছাড়াও রিয়াদের জায়গায় খেলতে পারেন তিন বছর পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করা সাব্বির রহমান। হয়তো রিয়াদের চেয়ে সাব্বিরকে একটু বেশি সুযোগ দিয়ে দেখতে চাবেন নির্বাচকেরা।

অধিনায়ক যেহেতু সাকিব আল হাসান, তাই একটি ব্যাপার পুরোপুরি নিশ্চিত, দলের জন্য যেটি ভালো হবে সেটাই করবেন এই ক্রিকেটার। সেক্ষেত্রে সিনিয়র জুনিয়র এসব হিসেব দেখবেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ফলে কম্বিনেশন এর কারণে রিয়াদের বাদ পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। হয়তো সাইড বেঞ্চে বসেই কাটতে হতে পারে এশিয়া কাপ।