জিম্বাবুয়ে এবারের সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই খেলায় ৩০৩ ও ২৯০ রান করেও হার এড়াতে পারেননি টাইগাররা।
সিরিজ হারের পর হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা নিয়ে শেষ ওয়ানডেতে নামে তামিম বাহিনী।
সেই লজ্জার হার থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন ব্যাট হাতে আফিফ হোসেন (৮০*) ও এনামুল হক বিজয় (৭৬) এবং পরে বোলাররা।
বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট হাতে নেমে ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে জয় পান টাইগাররা।
এদিন ৮১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন আফিফ। এ অলরাউন্ডার বুক চিতিয়ে না দাঁড়ালে বাংলাদেশ ২৫০ রানের সংগ্রহ পেত কিনা সন্দেহ! দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ৪০ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ।
কথা ওঠে যে কাজটা করতেন বলে একসময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ‘ক্রাইসিস ম্যান’ বলা হতো এখন আফিফের ভূমিকা তেমনটিই দেখা যাচ্ছে। এবার তার নামের পেছনে এই তকমা দেওয়া যায়?
সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘তাকে এখনোই কোনো নাম দেবেন না। সেটা একটু দ্রুতই হয়ে যায়। তার মধ্যে এমন অনন্য গুণ আছে, যা খুব বেশি মানুষের মধ্যে নেই। আজকের ম্যাচ কিংবা দ্বিতীয় ম্যাচটাই যদি দেখেন, আমরা চাপে ছিলাম। কিন্তু সে (ব্যাটিংয়ে) এসেই ম্যাচটা প্রতিপক্ষের মুঠো থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।’
ছয় নম্বর পজিশনে আফিফের মতো ব্যাটারদের ঝুঁকিটাও স্মরণ করিয়ে দিলেন তামিম, ‘একটা বিষয় কী, এ ধরনের খেলোয়াড় অনেক সময় একই কাজ (খেলার ধরন) করতে গিয়ে আউট হয়ে যাবে। তখন আমরা কিংবা আপনারা হয়তো বলাবলি করব— এটি কী করল! আমি চাই না সে তার এই গুণটা হারাক, সে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে চায় এবং এটি দারুণ একটা গুণ। আমি জানি সে খুব ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়বে, তবে এখনই তাকে কোনো নাম দেওয়াটা একটু তাড়াহুড়া হয়ে যায়।’