গলায় ফাঁস দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসকের আত্মহত্যা

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে রোকেয়া বেগম ডেইজি (২৭) নামের এক চিকিৎসকের গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দলার দর্গা মেমোরিয়াল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ডা. রোকেয়া খাতুন দিনাজপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের সিরাজের মেয়ে।

নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান আক্তার জানান, আজকে বিকেলে মোবাইলের মাধ্যমে থানায় সংবাদ আসে উপজেলার দলার দর্গা মেমোরিয়াল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এক চিকিৎসক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই চিকিৎসক। রোকেয়া বেগম ডেইজি দলার দর্গা মেমোরিয়াল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকতেন এবং তার স্বামী চিকিৎসক আরিফুজ্জামান আরিফ চিরিরবন্দরে কর্মরত। তার স্বামী গতকাল চিরিরবন্দর থেকে আসেন। রাতে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে রোকেয়া বেগম মঙ্গলবার বিকেলে তার কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে, এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা।