মুক্তির আগেই ট্রেলার ও গান প্রকাশে সাড়া ফেলেছিল চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ‘হাওয়া’ সিনেমা। কুরবানি ঈদের দিনে মুক্তির পর থেকে এখনবধি দর্শক টানছে সিনেমাটি।
কোনো কোনো হলে নাকি এখনো হাউসফুল যাচ্ছে।
এমন খবরের মধ্যেই ‘হাওয়া’ নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া তাদের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছে, যা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে যশোরের মণিহার সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দেওয়া ফেসবুক পেজে জাজ মাল্টিমিডিয়া পোস্টটি এ রকম— ‘গতকাল (শুক্রবার) যশোরের মণিহার সিনেমা হলে , ‘হাওয়া’ সিনেমার সেল হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকার, যা ২০১৭ সালে ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত ‘বস-২’ সিনেমার পরে এটা সর্বোচ্চ সেল। অর্থাৎ গত ৫ বছরে কোনো সিনেমা একদিনে এত টাকা সেল দিতে পারেনি। নিদিষ্ট একটি গ্রুপ ‘হাওয়া’ সিনেমার নেতিবাচক প্রচারে ব্যস্ত। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে হাওয়া সিনেমা দুর্দান্ত গতিতে চলছে।’
সিনেমাটি দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পেলেও একদিনে ৩ লাখের বেশি টিকিট বিক্রির বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মণিহার সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল ইসলাম।
গণমাধ্যমকে জিয়াউল ইসলাম বলেছেন, ‘তিন লাখ টাকার টিকিট বিক্রির খবরটা সত্য নয়। আমাদের হিসাবমতে, দুই লাখ টাকার বেশি হয়েছে, এটাই আমাদের জন্য স্বস্তির। আর পাঁচ বছর আগে ‘বস–২’ নয়, ‘শিকারি’ ছবিটিই ছিল সবচেয়ে বেশি ব্যবসার।’
জাজের কথার সত্যতা না থাকলেও ‘হাওয়া’র কাটতি দারুণ বলেন জানালেন জিয়াউল ইসলাম।
তার মতে, মন্দার বাজারে প্রথম দিন মণিহারে দুই লাখ টাকার ওপরে টিকিট বিক্রি হয়েছে – এটাই কম কি! এতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
জিয়াউল বললেন, মণিহার হলে ওপরতলার আসনের টিকিট মূল্য ১০০ টাকা আর নিচে ৮০ টাকা। ‘হাওয়া’র কোনো শো হাউসফুল পাইনি। এটা হওয়াও কঠিন। কারণ আমাদের তো অনেক বড় হাউস, সিনেপ্লেক্সগুলোতে তো দুইশ থেকে আড়াইশ আসন থাকে। আর মণিহারে য়েছে ১৪০০টি। তাই এ ধরনের ছবি দিয়ে সব আসন পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তবে ‘হাওয়া’ সিনেমার সাড়া সবচেয়ে ভালো। যেভাবে দর্শক আসছে, ভালোই লাগছে।’