তার চেয়ে স্বামীর বয়স কম হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সমালোচনা চলছে, সে বিষয়ে জবাব দিলেন ঢালিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পূর্ণিমা। বলছেন, এমন কথা উঠবে তিনি জানতেন। তাই আগেই প্রস্তুত ছিলেন। এছাড়া যারা এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন, তাদের শুভকামনাও জানিয়েছেন নায়িকা।
এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে পূর্ণিমা বলেন, ‘আগে থেকে প্রস্তুত ছিলাম। জানতাম, বিয়ের পর স্বামীর বয়স নিয়ে কথা উঠবে। যারা এসব লেখেন, না লিখতে পারলে ভালো থাকবেন না তারা। তাদের মন খিটখিট করবে। আমাকে দুই-তিনটা গালি দিতে না পারলে উল্টো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করবেন তারা।’
কটাক্ষকারীদের উদ্দেশে নায়িকা বলেন, ‘আমাকে নিয়ে এভাবে গালাগালি করে যদি তাদের শান্তি লাগে, আমি খুশি। আমার ছবি নিয়ে পোস্ট করে দু-চারটা গালি দিক, আমার কোনো সমস্যা নেই। তবু তারা শান্তিতে থাক, সুখে থাক, সুস্থ থাক। তাদের জন্য আমাদের দুজনের পক্ষ থেকে শুভকামনা। এ ব্যাপারে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’
গত ২১ মে আশফাকুর রহমান রবিন নামে এক যুবককে বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সে খবর প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি। এর পরই শুরু হয় হইচই। পূর্ণিমা সমালোচিত হন একাধিক বিয়ে করা নিয়ে। ধেয়ে আসে কটাক্ষ। সে সব ছাপিয়ে এখন চর্চায় নায়িকার নতুন স্বামী রবিনের বয়স।
বলা হচ্ছে, ৪১ বছর বয়সী পূর্ণিমার চেয়ে অনেকটাই ছোট তার স্বামী রবিন। যদিও কতটা ছোট, তা কেউ প্রকাশ করেননি।
বিয়ে নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা প্রসঙ্গে সপ্তাহ খানেক আগে পূর্ণিমা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘যেকোনো ঘটনা কিংবা বিষয়ে মানুষের ইতিবাচকের পাশাপাশি নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দেখা যায়। এটা সবসময়ই হয়। আমি সেসব নিয়ে মোটেও ভাবি না।’
বিয়ে করে খারাপ কিছু করেননি উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি তো নেতিবাচক কাজ করিনি। তাই কোনো ধরনের সমালোচনা গুরুত্ব দিচ্ছি না। যারা নিন্দুক, তারা সব সময় নিন্দাই করবেন। তার জন্য কি থেমে থাকব? মোটেও না।’
এটি পূর্ণিমার তৃতীয় বিয়ে। নায়িকা প্রথম বিয়ে করেন ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মোস্তাক কিবরিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে। বেশিদিন টেকেনি সেই সংসার। ২০০৭ সালের ১৫ মে বিচ্ছেদ ঘটে পূর্ণিমা ও ব্যবসায়ী মোস্তাকের।
ওই বছরেরই ৪ নভেম্বর নায়িকা ভালোবেসে বিয়ে করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমেদ জামাল ফাহাদকে। দ্বিতীয় সংসারে পূর্ণিমার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, নাম আরশিয়া উমাইজা। টেকেনি সে সংসারও। ফাহাদের সঙ্গে ডিভোর্সের পর মেয়েটি বর্তমানে পূর্ণিমার সঙ্গেই থাকে।