দুর্ঘটনার কবলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার

ঢাকার নবাবগঞ্জে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়েছে। তবে দুই সেনা কর্মকর্তা পাইলট নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের ভাঙ্গাভিটা এলাকায় একটি ধানখেতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাকবলিত উড়োযানটি সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং প্রসিডিউরের সময় হেলিকপ্টারটি একটি জলাশয়ে দুর্ঘটনাজনিত জরুরি অবতরণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী কৈলাইল ইউপি চেয়ারম্যান বসির আহমেদ জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গাভিটার ইছামতি নদীর দক্ষিণ পাড়ে ধানখেতে হেলিকপ্টারটি পড়ে যায়। দ্রুত হেলিকপ্টার থেকে দুজন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল এবং মেজর শামস।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। পরে আরেকটি হেলিকপ্টারে কর্নেল ইসমাইল ও মেজর শামসকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটি এক সপ্তাহ ধরে কৈলাইলের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছিল।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর হেলিকপ্টারটি দেখতে ভিড় করে উৎসুক জনতা।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, আর্মি এভিয়েশনের বেল-২০৬ হেলিকপ্টারটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। সেটি ‘জরুরি অবতরণ পদ্ধতি’ (Emergency Landing Procedure) অনুশীলন করার সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে সেটি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি জলাশয়ে দুর্ঘটনাজনিত জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।

হেলিকপ্টারে থাকা দুজন পাইলটকে (লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল এবং মেজর শামস) উদ্ধার করে ঢাকার সিএমএইচে আনা হয়েছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।

আইএসপিআর আরও জানায়, ওই এলাকা এবং হেলিকপ্টারটির নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় পুলিশ সহায়তা দিচ্ছে। তাছাড়া পোস্তগোলা ও মাওয়া সেনানিবাস থেকে নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

সূত্র : ঢাকাটাইমস