সন্তানেরা কী দোষ করেছে, টুটুল-তানিয়ার বিচ্ছেদে প্রশ্ন সিদ্দিকের

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের দীর্ঘ ২৩ বছরের সংসার ভেঙে গেছে। গত বছরই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ করেছেন। শুধু তাই নয়, নতুন করে সংসারও পেতেছেন টুটুল। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সোনিয়াকে বিয়ে করেছেন এই গায়ক।

টুটুল-তানিয়া দেশের শোবিজে অন্যতম সফল ও নন্দিত দম্পতি ছিলেন। তাদের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসায় হতবাক ভক্তরা। এছাড়া শোবিজের অন্য তারকারাও অবাক হয়েছেন। অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের মনেও ধাক্কা দিয়েছে টুটুল-তানিয়ার ডিভোর্সের খবর। ফেসবুকে এক পোস্টে সে কথাই লিখেছেন তিনি।

সিদ্দিক লিখেছেন, ‘টুটুল ভাই এবং তানিয়া আপার একটি সন্তানের নাম আরশ, আমার সন্তানের নামও আরশ। কিন্তু আমি কখনও ভাবিনি আরশ নামের সন্তানদের জীবনে একই অবস্থা হবে। সত্যি আমরা মিডিয়ার মানুষরা কী করি, কী করছি, কী করা উচিত এগুলো নিয়ে আরেকটু ভাবতে হবে।’

এই অভিনেতার ভাষ্যে, ‘আসলে আমি কখনো কোন কিছু বলতে চাইনি এইসব নিয়ে। কিন্তু আজ আর পারলাম না। মনে হলো কোন কিছু বলা উচিত, আমাদের কেন এমন হচ্ছে? আসলে কি আমরা অনেক খারাপ? নাকি বিধাতা আমাদেরকে এভাবেই জীবন দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমরা না হয় আমাদের জীবন আনন্দে কাটিয়ে গেলাম। আমাদের সন্তানরা কি দোষ করেছে? আমাদের জন্য তাদের এমন জীবন গড়তে হবে কেন? আজকে একটা নিউজ দেখে আমার মনটা অনেক খারাপ।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘তানিয়া আপু এবং এস আই টুটুলের বিবাহ-বিচ্ছেদের নিউজটি যখন আমার চোখের সামনে পড়ল, তখন মনে হলো কি হতে চলেছে এসব? আমরা কি একে অপরকে একটু সরি বা থ্যাংকস বলতে পারি না। আমার মনে হয় এই দুটি শব্দের কারণে শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবীর অনেক সন্তানরাই তাদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে না। সর্বোপরি বলব, তানিয়া আপু এবং টুটুল ভাইয়ের সাথে দীর্ঘ ৩১ দিন আমেরিকাতে কাটিয়েছি, দেখেছি তাদের মিল। তাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটবে আমি ভাবতে পারি না। আল্লাহর কাছে শুধুই প্রার্থনা, আরশ তোমরা সবসময় ভালো থেকো এবং থাকবে এটা আমার বিশ্বাস, ইনশাআল্লাহ।’

উল্লেখ্য, এস আই টুটুল টুটুল ও তানিয়া আহমেদ বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৯ সালে। এরপর থেকে সুখেই সংসার করে আসছিলেন। তাদের ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তিন সন্তানকে নিয়ে তানিয়া-টুটুলের সুখের অন্ত ছিল না। কিন্তু সেই সুখের সংসার আর টিকলো না।