মালয়েশিয়ায় নিয়োগের জন্য প্রস্তুত দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী

মালয়েশিয়ায় নিয়োগের জন্য ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী প্রস্তুত। বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত ২৫টি শ্রম সংস্থার মধ্যে ১৫টি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশি এসব কর্মী এখন মালয়েশিয়ায় নিয়োগের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।

১৪ জুলাই এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ববর্তী প্রযুক্তিগত সমস্যা যেগুলো বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে বিলম্ব করেছিল তা সমাধান করা হয়েছে। আগ্রহী নিয়োগকর্তা যারা শুল্ক পরিশোধ করেছেন এবং বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চাইছেন তারা কর্মসংস্থান এবং কাজের ভিসার ডকুমেন্টেশন নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ হাইকমিশনে তাদের আবেদন পাঠাতে পারেন।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে মান সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অবশিষ্ট ১০টি শ্রম সংস্থার যাচাইকরণ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার মালয়েশিয়া যাওয়ার পথ আবার খুলেছে। জনবল নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র জমা দেওয়া মালয়েশিয়ার ১৮টি কোম্পানি পরিদর্শন করে জনবল নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন। বিষয়টি হাইকমিশন থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই বাংলাদেশের কর্মী নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে উড়বে ফ্লাইট।

১৩ জুলাই কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো দুটি চিঠিতে দেখা যায়, নিয়োগদাতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রেডউড ফার্নিচার ১৫০ জন ও আশুকা ইন্ডাস্ট্রিজ এন্টারপ্রাইজ ১০০ জন বাংলাদেশি কর্মী নিচ্ছে। দুটি কোম্পানিরই চাহিদাপত্র সত্যায়ন হয়েছে। রেডউড ফার্নিচার কোম্পানিতে জনবল সরবরাহ করবে নিউএজ ইন্টারন্যাশনাল (০৭০৩) নামে রিক্রুটিং এজেন্সি।

২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার ৪০ মাস পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। গত মাসে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে জুনের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ঘোষণা দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

তবে বিভিন্ন কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা বাড়তে থাকে। এতে নেপাল থেকে কর্মী নেওয়ার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়ায় জনবল পাঠানোর দরজা এবার খুলেছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। দেশটির যে চাহিদা তাতে মালয়েশিয়ায় আরো প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি কর্মী যেতে পারবেন।