বাংলাদেশ দলে ‘নতুন বাঘ’ এসে গেছে!

নাসুম আহমেদের গল্পটা এতদিনে সবারই জানা হয়ে গেছে নিশ্চয়ই। কতটা চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে আজ দক্ষ নাবিক হয়েছেন তিনি! সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে।

২৭ বছরের বাঁহাতি স্পিনার ২৬ বছরে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ক্যাপ মাথায় তোলেন। দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি তুলনায় তার বয়সটা তখন নেহায়েত কম নয়! প্রায় এক বছর পর চলতি উইন্ডিজ সিরিজে ওয়ানডে একাদশে সুযোগ পান। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই বার্তা দিলেন নাসুম, দাপুটে বোলিংয়ে সরাসরি জানান দিলেন, ‘নতুন বাঘ’ এসে গেছে!

সাকিব আল হাসানের ছুটিতে। তার পরিবর্তে বাঁহাতি স্পিনের বিকল্প হিসেবে যাকে ভাবা হয়, সেই তাইজুল ইসলাম দলের সঙ্গেই আছেন। তবু অধিনায়ক তামিম ইকবাল ‘জুয়া’ খেললেন। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম ওয়াডেতে অভিষেক করালেন নাসুমকে। তাতেই বাজিমাত নাসুমের। উইকেটের দেখা না পেলেও ঘূর্ণি জাদুতে নজর কাড়েন তিনি।

বৃষ্টির কারণে সেদিন ৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে উইকেটের দেখা না পেলেও নিজের কোটার ৮ ওভারে মাত্র ১৬ রান দেন নাসুম। যেখানে ৩ মেডেনসহ ডট বল দেন ৪০টি। আজ বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে তো আগুণে পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কার বাগিয়েছেন। ১০ ওভারে ৪ মেডেনে ১৯ রান দিয়ে নেন গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট।

এদিন উইকেট উদযাপনে কিছুটা বৈচিত্র্য দেখা যায়। উইকেট পেয়ে অনেকটা রিভিউ চ্যালেঞ্জ করার পর দুই হাতের সাহায্যে ইংরেজি ‘টি’ বর্ণের মতো আঁকেন নাসুম। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে ধারাভাষ্য ড্যারেন গঙ্গার জিজ্ঞাসায় রহস্য ভাঙেন তিনি। যেখানে নাসুম জানালেন, ‘টি’ দিয়ে ‘টাইগার’ বুঝাতে চেয়েছেন তিনি। তার এই উদযাপনের ভঙ্গি ছিল, ‘নিউ টাইগার ইজ কামিং।’ অর্থাৎ এটা বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘নতুন বাঘ আসছে’।

এদিন নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নাসুম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম যে প্রথম ম্যাচে কোনো উইকেট পাইনি, পরের ম্যাচে যাতে উইকেট পাই। আমি জায়গায় বল করার চেষ্টা করেছি। উইকেটে যে সুবিধা ছিল, সেটা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’