১৮ বছরের কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর

ভোলার চরফ্যাশনে বিয়ের দাবিতে দুই দিন ধরে ১৮ বছর বয়সী কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এক সন্তানের জননী প্রেমিকার অনশনের খবর পাওয়া গেছে।

গত বুধবার (৬ জুলাই) ঢাকা থেকে চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে প্রেমিক আল আমিনের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন ওই নারী। প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বসত ঘর তালাবদ্ধ করে গাঁ-ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক আল আমিনসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

আল আমিন চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের ছেলে। প্রেমিকা বাঘেরহাট জেলার মংলা বন্দর থানার কেওড়া তলা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, গেল দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আল আমিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। প্রথমে বন্ধুত্ব হলেও কিছুদিন পরে সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক আল আমিন তাঁর (প্রেমিকার) কর্মস্থল ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করত। সেখানে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিত। এভাবে সেখানে তাঁরা দুই বছর বসবাস করেন।

অনশন করা ওই নারী জানান, আল আমিনের মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে ওই নারী কথাও বলেছিলেন। সে সময় তাঁর মা তাদের বিয়ে দিবে এমন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে মে মাসে মোবাইল ফোনে আল আমিনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া বাঁধে। এরপর থেকেই আল আমিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

পরে খোঁজ নিয়ে গতকাল সকালে ওই নারী চরফ্যাশনে আল আমিনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করে। পরে গ্রামবাসিরা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবগত করলে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বাড়িতে ওই নারীকে আশ্রয় দেন।

ইউপি সদস্য ইব্রাহিম জানান, ওই নারী বিয়ের দাবি নিয়ে কিশোর আল আমিনের বাড়িতে অবস্থান নিলে আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ওই নারীকে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় দেন।

আহম্মেদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
দুলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন জানান, অনশনের ঘটনাটি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।