উন্নয়নের এত ঢাকঢোল, দেশে লোডশেডিংয়ের দুর্বিষহ পরিস্থিতি কেন: রিজভী

লোডশেডিংয়ের ভয়াবহ ছোবলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ রাজধানীর বাসিন্দারাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি করেন তিনি।

রিজভী বলেন, সারা দেশে উন্নয়নের এত যে ঢাকঢোল বাজানো হলো তা হলে সারা দেশে কেন লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতি। বিদ্যুৎ নিয়ে নানা রঙচঙের কথা বলা হয়েছে। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ১৫২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই এখন অচল হয়ে পড়ে আছে। এখন লোডশেডিংয়ের ভয়াবহ ছোবলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ রাজধানী শহরও বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অথচ বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র কুইক রেন্টাল স্থাপন করতে ভর্তুকি দিতে হয়েছে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা। এ টাকা কীভাবে খরচ হচ্ছে সেটি নিয়ে কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে জন্য দায়মুক্তির আইন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের সীমাহীন ব্যর্থতার মূল কারণ-ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আত্মীয়স্বজনের বেপরোয়া লুণ্ঠন। এরা স্বদেশ ও স্বসমাজকে এড়িয়ে আত্মীয় তোষণ করতে গিয়েই বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়ে জনগণকে শোষণ করার পথ উন্মুক্ত করেছে। যার কারণে বিদ্যুতের বিল এখন অস্বাভাবিক, কিন্তু দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে।

বানভাসিদের জন্য সরকারের ত্রাণ কার্যক্রমের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, পদ্মা সেতুর জাঁকজমক উদ্বোধনে শুধু শত শত টয়লেট নির্মাণ করতেই কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অথচ প্রবল বন্যায় বানভাসি মানুষের জন্য জনপ্রতি মাত্র ১৮ টাকা ও দেড় কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এ যেন কর্মহীন অর্ধাহার-অনাহারক্লিষ্ট মানুষের প্রতি নির্মম পরিহাস। এ পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের একটি সুনিশ্চিত ভঙ্গি। এটি এই শতকে সভ্যতার সংকটের এক দুর্বিষহ দৃষ্টান্ত। সরকারের এহেন আচরণ দুঃস্বপ্নের অতীত এক অভিঘাত। মানুষের দীর্ঘশ্বাস ঝরে পড়ছে কিন্তু তারা ক্ষমতার নেশায় আছন্ন হয়ে এ ধরনের একটি অপরাধপ্রবণ কর্মসূচি নিয়েছে।

সরকারের কারণেই এই বন্যা মানবতার অস্তিত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে বলে দাবি করেন তিনি।