দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ৫০০ ছাড়াল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত একদিনে ৫৯৬ জনের দেহে ধরা পড়েছে, যা ১৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংক্রমণ ১১ সপ্তাহ নিন্মমুখী থাকার পর দৈনিক শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন একশ ছাড়িয়ে যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ১৬৩ জন বেশি; শনিবার ৪৩৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সর্বশেষ ৪ মার্চ বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল একদিনে, সেদিন ৬০৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জন অপরিবর্তিত থাকল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ ঘন্টায় ৮ হাজার ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৮০৭ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ছে।