কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টাকা লেনদেনে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজকে আটক করা হয়েছে। নির্বাচনী শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
ওই খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়ে ইলিয়াসকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
আজ বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসের ফটক সংলগ্ন এটিএম বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্যাম্পাস এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা, সহকারী প্রক্টর মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ২৪ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন তার সঙ্গে দেখা করেন। মেয়র প্রার্থী চলে যাওয়ার পর ইলিয়াসের দেহ তল্লাশি করে ১৫ হাজার টাকা পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর তাকে আটক করে গাড়িতে তোলা হয়। তখন ছাত্রলীগ নেতারা বিক্ষোভ করে ইলিয়াসকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেন।
এ বিষয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘সকল প্রার্থী ও প্রার্থীর এজেন্টদের ডেকে এনে যদি একজন বলতে পারে আমি কোনো প্রার্থীর পক্ষে ১০০ টাকা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি, তাহলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। উনি কেন আমাকে বলল আমি ভোট কিনেছি, কী কারণে আমাকে চার্জ করল?’
কুবি ছাত্রলীগ সভাপতিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর বিক্ষোভ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছবি : আমাদের সময়
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত দেব, উনি কী কারণে এমনটা করলেন। আমি এখানে এসেছিলাম নাস্তা করতে, আর উনি আমাকে এখান থেকে ধরে নিয়েছেন। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আর ছাত্রলীগের সভাপতি। আমার কাছে ২০, ৫০ হাজার টাকা থাকা কি দোষের কিছু?’
এ বিষয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা চান কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান।