ভালোই সাড়া পাচ্ছে শান্ত-শ্রাবন্তীর ‘বিক্ষোভ’

গেল শুক্রবার দেশের ৩৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তরুণ নায়ক শান্ত খান এবং ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় অভিনীত সিনেমা ‘বিক্ষোভ’। ‘নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন’কে উপজীব্য করে এগিয়ে গেছে সিনেমাটির গল্প। নির্মাতাদের দাবি, ভালোই সাড়া পাচ্ছে সিনেমাটি।

২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকার একটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল ‘নিরাপদ সড় চাই আন্দোলন’। সেই আন্দোলন যেমন দেশব্যাপী সাড়া ফেলেছিল, সেই ঘটনা নিয়ে বানানো ‘বিক্ষোভ’ সিনোমটিও অনুরূপ সাড়া ফেলেছে। কারণ, এর সুন্দর গল্প এবং অভিনয়শিল্পী নির্বাচন।

‘বিক্ষোভ’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে দেশের অন্যতম বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া। পরিচালনা করেছেন শামীম আহমেদ রনী। এখানে শান্ত ছাত্র এবং শ্রাবন্তী শিক্ষিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আরও আছেন রাহুল দেব, সাদেক বাচ্চু, রজতাভ দত্ত, শুভশ্রী কর, সাবেরী আলমদের মতো তুখোড় অভিনয়শিল্পীরা।

ঢালিউডের তরুণ তুর্কী শান্ত খানের দ্বিতীয় সিনেমা ‘বিক্ষোভ’। এর আগে তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এবার ‘বিক্ষোভ’-এও তিনি এক প্রতিবাদী যুবক। যে কিনা সড়ক দুর্ঘটনায় সহপাঠীর মৃত্যুর পর ছাত্র থেকে হয়ে ওঠেন ছাত্রনেতা। নেতৃত্ব দেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের।

সিনেমাটি মুক্তির পর গত দুদিন দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ ঘুরে শান্ত খান বলছেন, ‘গত দুদিন ভালোই সাড়া পেয়েছি। মধুমিতাসহ বেশকিছু প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শক সারিতে বসে সিনেমাটি উপভোগ করেছি। অধিকাংশ প্রেক্ষাগৃহ হাউজফুল ছিল। দর্শক সিনেমাটি পছন্দ করেছেন।’

শান্ত আরও বলেন, ‘প্রেক্ষাগৃহ থেকে জানানো হয়েছে করোনার পর ঈদের সিনেমা ছাড়া উৎসবের বাইরে এ সময়ের মধ্যে যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি কালেকশন হয়েছে আমার সিনেমা থেকে। প্রথম দিনেই অনেক প্রেক্ষাগৃহের শো হাউজফুল ছিল। সিনেমা দেখে অনেকেই ফোন করে তাদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছে।’

দর্শকদের এমন ভালোবাসায় আনন্দিত শান্ত খান। তিনি বলেন, ‘মানুষ এভাবে ভালোবাসা দেবে ভাবতে পারিনি। দর্শক আমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।’

এদিকে, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে গত বৃহস্পতিবার কেরাণীগঞ্জের লায়ন সিনেমাসে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিক্ষোভ’-এর প্রিমিয়ার শো। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। সিনেমাটি দেখে তিনিও বেশ প্রশংসা করেন।