‘আমাদের এমনভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে যেন আমরা ভয়ংকর অপরাধী’

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মা’দক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান খান। প্রায় একমাস জেলে থাকার পর উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় জামিন দেয়া হয় আরিয়ানকে। ভারতের এক ম্যাগাজিনে প্রকাশ পেয়েছে আরিয়ানের সঙ্গে এনসিবি কর্মকর্তার কথোপকথনের কিছু অংশ।

আরিয়ানের বিরুদ্ধে মা’দক পাচার, আন্তর্জাতিক মা’দক ব্যবসার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার মতো নানা অভিযোগ তোলা হয়েছিল এনডিপিএস অ্যাক্ট ১৯৮৫ অনুসারে, যার শাস্তি ৬ মাস থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। তবে নভেম্বরে এনসিবি-র মুম্বাই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে তদন্ত ভার চলে যায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম-এর হাতে।

এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় সিং সিটের দায়িত্বে ছিলেন, নতুন করে দেখেছেন মা’দক মামলা। ২০২২ সালের ২৮ মে কোনও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

এবার ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিনের কভার স্টোরি ‘লেসন ফ্রম দ্য আরিয়ান খান কেস’-এ মা’দক মামলা নিয়ে কথা বললেন সঞ্জয় সিং। আরিয়ানের সঙ্গে হওয়া কথোপকথন তুলে ধরেছেন তিনি। এনসিবির এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন তিনি আরিয়ানকে আশ্বস্ত করে বলেন,’আমি খোলা মনে তোমার সব কথা শুনব’।

এরপর আরিয়ান তার মুখোমুখি হয়ে হয়ে প্রশ্ন তোলেন, ‘স্যার আমাকে একজন আন্তর্জাতিক মা’দক পাচারকারী বলা হচ্ছে। আমি নাকি মা’দক ব্যবসায় টাকা যোগাই! এই অভিযোগগুলি অদ্ভুত না? তারা আমার কাছে কোনও মা’দক পায়নি, তাও আমাকে গ্রেফতার করে। স্যার আপনারা আমার সঙ্গে অত্যন্ত অন্যায় করেছেন, আমার ভাবমূর্তিটাই নষ্ট করে দিয়েছেন। আমাকে কেন এতগুলো সপ্তাহ জেলে থাকতে হলো? আমি কি সত্যি এসবের যোগ্য?’

সঞ্জয় সিংকে শাহরুখ খান বলেছেন, ‘আমাদের এমনভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে যেন আমরা বড় অপরাধী কিংবা রাক্ষস যারা সমাজকে ধ্বংস করছে। প্রতিদিন কাজে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।’ সঞ্জয় সিং আরও জানান, ছেলের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন শাহরুখ। আরিয়ানের ঘুম হচ্ছে না, এটা নিয়েও ভাবছিলেন।

সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা