১৬ জুন ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল, দেওয়া হবে স্মারকলিপি

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল থেকে চলতি সংসদ অধিবেশনে নিন্দা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই। এছাড়া কটূক্তির প্রতিবাদে আগামী ১৬ জুন গণমিছিল নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (১০ জুন) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। পরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের গেটে আয়োজিত সমাবেশে নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে যাঁরা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তাঁদের বিচার করা না হলে আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। গণমিছিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম নেতৃত্ব দেবেন বলে জানানো হয়েছে।

সমাবেশ শেষে ইসলামী আন্দোলন বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে তারা নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে গেছে। সমাবেশে মহানবী (সা.)-কে অবমাননা করার ঘটনায় জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব জানানোর দাবি জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতে বিজেপির সাবেক জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা সম্প্রতি এক টেলিভিশন বিতর্কে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে বিজেপির দিল্লি শাখার সাবেক গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালেও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর টুইট করেন। সমালোচনার মুখে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন নূপুর। আর নিজের করা টুইট মুছে ফেলেন জিন্দাল।

এ ঘটনার পর নূপুরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর জিন্দালকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। অবমাননাকর মন্তব্য করার প্রায় দুই সপ্তাহ পর নূপুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।