প্রস্তাবিত বাজেটে ধুমপায়ীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপ বা আগের চেয়ে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কারণে অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে। আজ বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘কো’ভিডের অভিঘা’ত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন।’

এবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ধুমপায়ীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমাতে এবং রাজস্ব আদায় বাড়াতে তিনি বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৪০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৫ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১১১ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৪২ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং এই তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।

এ ছাড়াও পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৯ টাকা ও ৮ শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।

সিগারেটের নিম্নস্তরের দশ শলাকার দাম ৩৯ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৪০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ২০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।