সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড : পরিচয় মেলেনি ৩৬ মরদেহের

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৪৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে স্বজনদের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত অপর ৩৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত করতে আগামীকাল সোমবার ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। পরিচয় নিশ্চিতের পর তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আজ রোববার রাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, নিহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। এছাড়া ১৬৩ জন চমেক, জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। যাদের স্বজন নিখোঁজ আছেন তাদের চমেক হাসপাতালের বুথে গিয়ে যোগাযোগের অনুরোধ জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় নিহতদের প্রতি পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে দেবে। এছাড়া নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে ২৫ হাজার টাকা করে দেবে জেলা প্রশাসন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক দাবি করেন, ঘটনাস্থল থেকে কোনো রাসায়নিক পদার্থ বঙ্গোপসাগরে বা অন্য কোনো জলাধারে পড়েনি। তিনি বলেন, যে খাল দিয়ে পানি ডিপো থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার কথা সেই ড্রেনের মুখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা ও ফায়ার সার্ভিস বাঁধ দিয়েছে। এ কারণে ডিপোর কেমিক্যাল থেকে পরিবেশ দূষণের কোনো সম্ভাবনা নেই।