সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি: বেড়েই চলেছে নিহতে সংখ্যা, দেখেনিন সর্বশেষ তথ্য

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের সাত কর্মীসহ এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসেছে। রবিবার বিকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন জানান, নিহতদের মধ্যে সাতজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী রয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০ জনসহ দেড় শতাধিক লোক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।

শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সীতাকুণ্ডস্থ বিএম কনটেইনার ডিপোতে একটি দাহ্য পদার্থের কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ডিপো এলাকার পাঁচ কিলোমিটার প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

এদিকে ১৭ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আগুন নেভাতে সেখানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য সেখানে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই আহতদের আর্তনাদে এলাকায় বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রথমে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট অগ্নিনির্বাপণে যোগ দেয়। অবস্থা বেসামাল দেখে কুমিল্লা থেকেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সীতাকুণ্ডে আসে। রাত ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পানি সংকট সৃষ্টি হয়।

পরে বিভিন্নভাবে পানি জোগাড় করে তারা আবার আগুন নিয়ন্ত্রণে নেমে পড়েন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরণ শুরু হলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিরাপদ স্থানে সরে যান। ভোর থেকে তারা আবার বিভিন্ন কনটেইনার ও কনটেইনারবাহী লরিতে লাগা আগুন নির্বাপণে কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে আহত ও নিহতদের স্বজনদের আর্তনাদে মেডিকেলের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। রক্ত দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবীরা চমেক ব্লাড ব্যাংকে ভিড় করে আছেন।