পরকীয়া করায় স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ

রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রী আয়শা বেগমকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মাইনুদ্দীন। স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে খুন করেছেন বলে থানায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। গতকাল সকাল ৭টার দিকে পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক মাইনুদ্দীনের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তার বাবার নাম বশির উদ্দীন।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশ জানান, সকাল ৭টার দিকে মাইনুদ্দীন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে খুনের কথা স্বীকার করেন। তার এই অপরাধের জন্য তিনি প্রাথমিক জবানবন্দিতে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে রাজি আছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

মাইনুদ্দীনের জবানবন্দির বরাত দিয়ে এএসপি আরও বলেন, দুই বছর ধরে মাইনুদ্দীনের স্ত্রী আয়শা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার মমিনবাজার জগজীবন এলাকার ফারুকের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ চলছিল। ঘটনার দিন গত

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে নিজ শয়নকক্ষে স্ত্রী আয়শা বেগমকে শাবল ও কুড়াল দিয়ে শরীরে আঘাত করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মাইনুদ্দীন। এর পর মরদেহ ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে সকাল ৭টার দিকে স্ত্রী হত্যার কথা জানিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মাইনুদ্দীন।

ব্যবসায়িক কারণে দীর্ঘদিন ধরে পীরগাছায় বসবাস করে আসছেন তিনি। সম্প্রতি তারা ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত ২৯ মে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার আয়শা বেগমকে ফোন করেন ফারুক। এ নিয়ে মাইনুদ্দীন ও আয়শার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুই বছর ধরে ফারুক ও আয়শার মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকার কারণে স্থানীয়রা তাদের হাতেনাতে ধরে একবার থানায় সোপর্দ করেছিলেন। এ ঘটনার পর মাইনুদ্দীন স্ত্রী আয়শাকে অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে সরে আসার জন্য বুঝিয়ে আসছিলেন।

পীরগাছা থানাপুলিশের ওসি সরেশ চন্দ্র বলেন, এটি পরকীয়ার কারণে খুন নাকি অন্য কারণে তদন্তের পর জানা যাবে। পরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। মাইনুদ্দীন আটক আছেন। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।