প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর হামলার ভিডিও ভাইরাল

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের চর সিংগারিয়া গ্রামে ফাহিমা বেগম (৩১) নামে এক নারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। এদিকে হামলার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ওই নারীর অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ফাহিমা বেগমের স্বামী জাকির হোসেন সরদার দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছেন। ফাহিমা ছোট দুই মেয়ে নিয়ে স্বামীর বাড়ি চর সিংগারিয়া গ্রামে বসবাস করছেন। স্বামী বিদেশ থাকায় প্রতিবেশী মনির হোসেন সরদার (৪০) ফাহিমাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়েছে। ফাহিমা এ ঘটনা তার স্বামী জাকির হোসেন ও স্থানীয়দের জানান। তারা এ বিষয়ে মনিরকে নিষেধ করলে, মনির আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ফাহিমাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়।

এদিকে গত ১৩ মে রাতে ফাহিমা বাড়ীর বাহিরে বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মনির তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ফাহিমা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে মনিরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় পরের দিন মনির হোসেন ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম, ছেলে রাকিব ও সাকিবসহ আরও কয়েকজন মিলে ফাহিমার ওপর হামলা চালায়। তারা ফাহিমাকে পিটিয়ে জখম করে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন নারী মিলে ফাহিমাকে চুলের মুটি ধরে টেনে হিঁচড়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও কিল ঘুষি মারছে। আর মনির একটি মোটা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাচ্ছে। ফাহিমা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিচ্ছেন। ফাহিমা হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে ঘরের মধ্যে লুকাতে চাইলে মনির সেখানে গিয়েও হামলা চালায়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে না পেরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ফাহিমা।

ভুক্তভোগী ফাহিমা বেগম বলেন, আমার সঙ্গে যারা অন্যায় অবিচার করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।

অভিযোগ আস্বীকার করে মনির হোসেন সরদার বলেন, ফাহিমা বেগম আমার ভাইয়ের স্ত্রী। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাড়ির নারীরা ঝগড়াঝাঁটি করেছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।

এ ব্যাপারে পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেনের মুঠোফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায় নি।