‘প্রেমের টানে পালানোর’ ক্ষতিকর দিক বোঝাতে শ্রেণিকক্ষে পুলিশ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নবম-দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ ছাত্রী প্রেমের টানে উধাও হয়েছেন। আর এই অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুলছাত্রীদের ‘উধাও ঠেকানোর উদ্দেশ্যে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সচেতনতামূলক সভা করছে থানা পুলিশ। রোববার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ শপথ ও সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত সভায় প্রেমের টানে না পালানোর শপথ করেছেন নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

শপথ পাঠ করান কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, মাদক, বাল্যবিয়ে, পালিয়ে বিয়ে করা, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং ইত্যাদি চলমান সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তোমাদের সাথে কথা বলতে এসেছি। দিন দিন এসব সমস্যা প্রকোট আকার ধারণ করছে। সবাইকে বলছি, সবার আগে নিজের ও পরিবারের ভাল বুঝতে হবে।

মিজানুর রহমান বলেন, সবাই আমার সঙ্গে শপথ করো, কখনো প্রেম করে পালিয়ে যাবে না, পরিবারকে কষ্ট দেবে না। ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, অসম প্রেম, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের পলায়ন সমাজে ব্যাধি হিসেবে যেনো রুপান্তরিত না হয়, এ কারণেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। পর্যায়ক্রমে সব বিদ্যালয়ে এ ধরনের শপথের আয়োজন করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান বলেন, আইনে বাল্যবিয়েকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে এটা প্রতিহত করতে হবে। বাল্যবিয়ে একটি মেয়ের বড় হওয়ার পথে বড় বাধা। অপ্রাপ্ত বয়সে পালিয়ে গিয়ে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সবাইকে বোঝাতে হবে, লেখাপড়া শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরই মেয়েদের বিয়ে করা উচিত। তাই এমন শপথের আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দসহ কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।