মাথায় সিলিং ফ্যান পড়ে আহত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান। বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। মুরাদের কপালে তিনটি সেলাই পড়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. দেবাশীষ রাজবংশী।
আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। আল্লাহ নিজে আমাকে বাঁচিয়েছেন, আমার চোখ রক্ষা করেছেন।’ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘হল রুমের বাইরে আমার উঠানের ওপরে টিনশেড করা ওখানে লাইট ফ্যান আছে। ওই সময়টাতে আমার বেশ গরম লাগছিল। আমার চেয়ারটা একটু সরিয়ে ঠিক ফানের নিচে গিয়ে বসছি, বসার দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই ফ্যান অদ্ভুতভাবে,
এসে খুলে আমার ডান চোখের ভ্রুর ওপরে এমন জোরে একটা আঘাত লাগে আমি ছিটকে পড়ে যাচ্ছিলাম। আমার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা ফ্যানটা ধরেছে, ফ্যানটা না ধরলে আমার আরও ক্ষতি হতে পারত। আমি চিন্তাও করতে পারি নাই বিষয়টা। এক কথায় আল্লাহর রহমতে, আল্লাহ নিজে আমাকে বাঁচিয়েছেন। আল্লাহ নিজে আমার চোখটা রক্ষা করেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং আমাদের এই নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে ফ্যান সরিয়ে আমাকে ধরে তুলে আনে। আমার তো এত রক্ত পড়ছিল যে আমি ভয় পেয়ে যাচ্ছিলাম বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যায় কি না।’
বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে জানান ড. মুরাদ। বলেন, ‘এ অবস্থায় জাস্ট ফ্যানই, অন্য কোনো কারণ নেই। এটা একটা দুর্ঘটনা। একটা জিআই তারের মধ্যে অ্যাঙ্গেল দিয়ে লাগানো ছিল। ওইভাবে এইটা মনে হয় কেউ খেয়াল করে নাই। আমরা সবাই আমার বৈঠকখানায় বসেছিলাম। সেখানে মোট ৬টি ফ্যান আছে। সেগুলো চলছিল, ওগুলো খুলে পড়ে নাই। কিন্তু আমার মাথার উপর যে ফ্যানটি ঘুরছিল, সেটিই হঠাৎ খুলে এসে আমার মাথায় পড়ে। ’
প্রসঙ্গত, আলোচিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে আপত্তিকর কথোপকথনের একটি ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় কিছু দিন আগে মন্ত্রিত্ব হারান মুরাদ হাসান।