জোড়া ভুরু, শ্যামলা রং, প্রথাগত সুন্দরীও নন- তবু একটা সময় বলিউডে রাজত্ব করেছেন কাজল। তার সরল হাসি আর সহজ অভিনয়ই ছিল এই জনপ্রিয়তার কারণ। নব্বইয়ের দশকে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’র লাজুক পাঞ্জাবী তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন ভক্তরা। সেই কাজলের নাকি এখন অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না। এমন দাবি বলিউডের ছবি শিকারিদের।
এই ছবি শিকারিদের দৌলতেই বলিউডের ছোট থেকে তাবড় তারকারা খবরে থাকেন। যার কারণে শাহরুখ, হৃত্বিক, রণবীর, দীপিকা, আলিয়াদের মতো বড় তারকারাও এদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন। সেই ছবি শিকারিদেরই অভিযোগ, কাজল ইদানিং প্রায়ই দুর্ব্যবহার করেন তাদের সঙ্গে। কথা তো বলেনই না। মাঝে মধ্যে ডাকলে সাড়াও দেন না।
বরাবর প্রচার চাওয়া বলিউডে এমন ধারা স্বাভাবিক নয়। তবে দুই-একজন যে ব্যতিক্রম হন না তা নয়। বলিউডে অনেক প্রচারবিমুখ তারকাও আছেন। তবে তারাও ক্যামেরার সামনে ন্যূনতম সৌজন্যবোধ দেখান। কিন্তু কাজল নাকি সেই সৌজন্যবোধের ধারও ধারেন না!
ছবি শিকারিদের অভিযোগ, কাজলের মধ্যে এক অদ্ভুত বেপরোয়া ভাব আছে। কখনও সখনও তার আচরণ দেখে মনে হয় কে কী বলল, তিনি তা পাত্তাই দেন না। কাজলের আগে বলিউডে এই দুর্নাম ছিল অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া বচ্চনের। সেই দুর্নাম এখনও রয়েছে। তবে ছবি শিকারিদের দাবি, কাজল এ ব্যাপারে জয়াকেও টেক্কা দেন।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছবি শিকারিদের সঙ্গে নাকি এমনই দুর্ব্যবহার করেছেন কাজল। অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে কাজলকে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সাংবাদিকরা। কিন্তু কাজল তাদের দিকে ফিরেও তাকাননি। অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি গাড়ি থেকে নেমে নাকি চলে যান। সাংবাদিকদের দেখে মুখে সামান্য হাসিও ফোটেনি তার।
ছবি শিকারিদের দাবি, এমনটা যে কাজল প্রথমবার করলেন তা নয়। এর আগেও বহু বার তাকে একই ভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে দেখা গেছে। অভিযোগ, একবার তার ছবি তোলার জন্য নাকি সাংবাদিকদের উপর রেগে গিয়ে তাদের ভর্ৎসনাও করেছিলেন কাজল। সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, কে তার ছবি তোলার অনুমতি দিয়েছে? ছবি শিকারিদের মতে, কাজল হঠাৎই একটু বেশি অহংকারী হয়ে গেছেন।
কিন্তু কেন? কাজলের সমালোচকদের প্রশ্ন, কিসের জোরে এক সময়ের লাজুক অভিনেত্রী এমন ‘উদ্ধত’ হয়ে উঠলেন? সমালোচকরা এমনও বলেছেন, কাজলের হাত ভর্তি কাজ- এ কথা বলতে পারবে না কেউ। মূলত সংসার নিয়েই আছেন। তবে বলিউডের সব অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ থাকে অভিনেত্রীর।
তার সমকালীন বহু অভিনেত্রী এখন বলিউডে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন। হারিয়েও গেছেন অনেকে। যারা আছেন তাদের নাকি খবরে থাকতে রীতিমতো পরিশ্রম করতে হয় বলে দাবি ছবি শিকারিদের।
তারা জানিয়েছেন, শাহরুখ, করণ জোহরের মতো বলিউডের বড় মহলগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগই কাজলকে এখনও বলিউডে প্রাসঙ্গিক রেখেছে। কিন্তু সেই যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে এমন দুর্ব্যবহার করলে কি কাজল বলিউডে নিজের সম্মান শেষপর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পারবেন? উঠছে এমন প্রশ্নও।