ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলের সংকট

বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার পড়ে এবার দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের সংকট। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সংকট দেখা দিয়েছে অকটেন, ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানি তেলের।অভিযোগ উঠেছে এই সুযোগ ব্যবহার করছেন অসৎ ব্যবসায়ীরা। সংকট তৈরি হওয়ায় খোলা বাজারে বেশি দামে জ্বালানি তেল বিক্রি করছেন তারা।

এর ফলে হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারন মানুষ। কোনো পাম্পেই মিলছে না ছোট যানবাহনের জ্বালানি পেট্রল। বিকল্প হিসেবে চালকরা অকটেন ব্যবহার করায় এ জ্বালানিতেও টান পড়েছে। টাকা দিলেও পাম্পগুলো গ্রাহককে পর্যাপ্ত পরিমাণ অকটেন দিচ্ছে না। বেশিরভাগ পাম্পে ‘পেট্রল ও অকটেন নেই’ লেখা টানানো। এক সপ্তাহ ধরেই সারাদেশে জ্বালানি তেল, বিশেষ করে পেট্রল নিয়ে হাহাকার চলছে। কোনো ঘোষণা ছাড়া বিক্রি বন্ধ করায় পাম্পে এসে পেট্রলনির্ভর বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা ফিরে যাচ্ছেন।

পাম্প মালিকরা বলছেন, ঠিকভাবে তারা জ্বালানি তেলের সরবরাহ পাচ্ছেন না। টাকা দিয়েও ডিপো থেকে তেল পাচ্ছেন না। পেট্রলের সরবরাহ শূন্যে আসায় বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। অকটেন বিক্রি করছেন স্বল্প পরিমাণে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে অকটেন বিক্রিও বন্ধ করে দেবেন। তবে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিপিসি বলছে, দেশে পেট্রলের কোনো সংকট নেই। যে পরিমাণ চাহিদা তা সরবরাহ করা হচ্ছে। মূলত রেলের ওয়াগন সংকটে তেল পরিবহন সাময়িক বিঘ্নিত হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উপমহাব্যবস্থাপক (বণ্টন ও বিপণন) মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদ বলেন, ‘এখন দেশে জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই। সারা দেশের ডিপোগুলোতে যে পরিমাণ তেল মজুদ আছে, ব্যারেল স্টক বাদ দিয়েও অনায়াসে ১২ দিন চলবে।’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্বতীপুর ডিপোতে যথেষ্ট পরিমাণে পেট্রল ও অকটেন মজুদ রয়েছে। তাহলে ওই এলাকার পাম্প মালিকরা কেন তেল উত্তোলন করেননি? কোন ডিপোতে গিয়ে তারা তেল পাননি, বলতে পারবেন? হয়তো তাদের ব্যাংকে টাকার ঘাটতি থাকতে পারে। এজন্য তেল ওঠাননি তারা। জিজ্ঞাসা করলে তারাই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’

অবশ্য চালকদের অভিযোগ, দাম বাড়াতেই জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, পাম্পে গিয়ে পেট্রল পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ খোলাবাজারে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দিলে মিলছে প্রতি লিটার পেট্রল।