স্ত্রীও বুঝে উঠতে পারেনি আমি কী ধরনের মানুষ: রেলমন্ত্রী

বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জরিমানা করে রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলামে বরখাস্ত করতে রেলওয়ের পাকশী জোনের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে ফোন করে এবার বিপাকে পড়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শামীমা আক্তার মনি।

গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে এরই মধ্যে খবর এসেছে, মন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মীর নির্দেশে শফিকুলকে বরখাস্ত করা হয়। রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর মামাতো বোন ইয়াসমিন আক্তার নিপা বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। রেলমন্ত্রীও স্বীকার করেন, টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে টেলিফোন করে অভিযোগ দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। স্ত্রীর এমন কাণ্ডে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়া রেলমন্ত্রী সুজন।

রবিবার (৮ মে) রেলভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন রেলমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, আমি ১১ থেকে ১২ বছর ধরে এমপি, আমার একটা ক্যারিয়ার আছে। আর ৯ মাস হলো নতুন বিয়ে করেছি, শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় এমনকি আমার নতুন স্ত্রীও এখনও আমাকে বুঝে উঠতে পারে নাই আমি কি ধরনের মানুষ।

স্ত্রীর কথায় টিটিইকে বরখাস্ত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার ওয়াইফের যদি কোনো অভিযোগ থাকে রেলের বিষয়ে, তাহলে তার উচিত ছিল আমার সঙ্গে কথা বলা। এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এটা সে করেনি। এই জায়গাতে কিছুটা ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমার ধারণা। এ কারণে আমি মনে করি যে, সাসপেনশন অর্ডারটা (টিটিইর বরখাস্তের আদেশ), এটা সঠিক হয়নি। এটা প্রত্যাহার করার জন্য ইতিমধ্যে আমরা বলেছি।

আপনার ঘরের একটা ইস্যু সারা দেশে আলোচনায় এ বিষয়ে আপনি বিব্রত কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে, রেলমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিকভাবেই আমি বিব্রত। কারণ আমি এখানে যেভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি, স্বচ্ছভাবে। সেখানে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। তো আমি অবশ্যই বিব্রত।

এ সময় রেলমন্ত্রী আরও বলেন, রেলের দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকে যাত্রী সেবার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে আচারণও পরিবর্তনের কথা বলেন। এ সময় তিনি বরখাস্ত করা সেই টিটিই শফিকুলের বরখাস্তের আদের্শ প্রত্যাহার করে নেন।