বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ রবিবারের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। প্রাথমিকভাবে ঝড়ের গতিপথ উত্তর পশ্চিমে অর্থাৎ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা বা পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গোপসাগর উপকূলের দিকে রয়েছে।
শুক্রবার ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাতে এ খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ওই নিম্নচাপই আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে শক্তি বাড়িয়ে আগামী ৮ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে আমেরিকার নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্যেও।
এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে কতটা প্রভাব ফেলবে বা আদৌ প্রভাব ফেলবে কি না, তা স্পষ্ট জানায়নি আবহাওয়া অফিস। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার ওড়িশা উপকূল এবং দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
‘পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে’-জানায় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে পরবর্তী নিদের্শনা পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে।
সূত্র : ঢাকাটাইমস