টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ মোটরসাইকেল পারাপারের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতুর পূর্ব ও পশ্চিমপাড়া টোলপ্লাজা দিয়ে প্রায় আট হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেলে ঝুঁকি নিয়ে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বোচ্চ সংখ্যাক মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৭ হাজার ৯৫৯টি মোটরসাইকেল পাড় হয়েছে। যা গতকাল শুক্রবার ছিল ৫ হাজারের অধিক।
এছাড়াও মালবাহী ও গণপরিবহনসহ ৪২ হাজার ১৯৯টি যানবাহন সেতু পারপার হয়েছে। এতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮ হাজার টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদে মহাসড়কে যানজট নিরসন ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সেতুতে টোল আদায়ের জন্য ঢাকা ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গগামী মোটরসাইকেলগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বর থেকে সেতুর স্টক ইয়ার্ডের সড়কে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। মোটরসাইকেলগুলো স্টক ইয়ার্ডের সড়ক দিয়ে গিয়ে সেতুর টোলপ্লাজার দক্ষিণপাশে অস্থায়ী দুটি টোলবুথ স্থাপন করা হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল আরোহীরা অল্প সময়ে টোল দিয়ে সেতু পাড় হয়ে যাচ্ছে।
মোটরসাইকেলযোগে পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একরামুল বলেন, যাত্রীবাহী বাসে ভাড়া কয়েকগুণ বেশি, সঙ্গে ভোগান্তিও পোহাতে হয়। ফলে পরিবার নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাচ্ছি। ক্লান্তি লাগলে বিশ্রাম নিতে পারছি।
রংপুরের খালেক রহমান জানান, মোটরসাইকেলে খুব সহজেই যাওয়া যায়। কোনো ক্লান্তি নেই বরং আনন্দ করতে করতে বাড়ি যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, সেতুর টোলের ইতিহাসে এবারই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যাক মোটরসাইকেল বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। তবে মানুষজন মোটরসাইকেলযোগে বেশি যাচ্ছে। এতে সেতুর পাশেই মোটরসাইকেলের জন্য দুটি অস্থায়ী টোলবুথ চালু করা হয়েছে।