সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে একজন তরুণীকে বাইকের সামনে বসিয়ে এক তরুণকে বাইক চালাতে দেখা গেছে। ওই তরুণী চালককে ধরে ছিলেন। সেসময় ভয়ডরহীন বাইক চালিয়ে গেলেন তরুণ। এই ভিডিও দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। এত দ্রুতগতির সড়কে কিভাবে একজন এভাবে বাইক চালাতে পারে, তা নিয়েও বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
ভিডিওটি দেখে অনেকেই জানতে চাইছেন, মেয়েটিকে ওভাকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? কোনো ভিডিও বা অন্য কিছু বানানোর জন্য কি না। আরেকজন এসে বলছেন, না। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘অতিরিক্ত হিন্দি সিনেমা দেখার সুফল এগুলা। ‘ ফাতেমা নামের একজন লিখেছেন, চলচ্চিত্রে এ ধরনের দৃশ্য দেখিয়ে মানুষকে ইনফ্লুয়েন্স করা হয়। তখন সবাই হাত তালি দেয়। ওয়াও বলে। ব্যাপারটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, যা সব সময় সিনেমার দৃশ্য, মিউজিক ভিডিওতে গ্ল্যামারাসভাবে উপস্থাপন করা হয়।
বাইকের এই ভিডিওটি ট্রাফিক অ্যালার্ট নামের একটি গ্রুপে পোস্ট করা হয়েছে। এর আগে সুজুকি জিক্সার নামের আরেকটি বাইকচালকদের গ্রুপে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। মুহূর্তেই এটি নেটিজেনদের জন্য আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। অনেকেই মনে করছেন এভাবে বাইক চালাতে গেলে যেকোনো মুহূর্তে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে হাতিরঝিলের ব্রিজে এটি দুঃসাহসিক একটি কাজ বলে উল্লেখ করছেন নেটিজেনরা।
এ ধরনের বেপরোয়া বাইক চালানোয় ট্রাফিক আইন অনুযায়ী যা বলছে, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ৪৭ নম্বর আইনের একাদশ অধ্যায়ে বলা হচ্ছে, নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে কোনো দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট মোটরযানের চালক বা কন্ডাক্টর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির অনুরূপ মোটরযান চালনা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।