তিন পরিবারের সম্মতিতে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করেছেন পঞ্চগড়ের রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি (২৫) নামে এক যুবক। বিয়ের পর খুশি তারা তিনজনই। নিজে এখনো উপার্জন করতে না পারায় চাকরি চেয়ে সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার এলাকার যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে রনি।
প্রথম স্ত্রী ইতি রানী একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা রানী লক্ষীদ্বার গ্রামের টোনোকিসর রায়ের মেয়ে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ট্রেডে ডিপ্লোমা করেছেন রনি। এক ভাই এক বোনসহ চারজনের সংসারে যোগ হয়েছে আরো দুই নতুন মুখ।
লক্ষ্মীদার এলাকায় গিয়ে কথা হয় রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনির সঙ্গে। তিনি বলেন, তারা দুজনই আমাকে ভালোবাসে। তাই দুইজনকেই বিয়ে করেছি। এই বিয়েতে আমরা খুশি। তবে চিন্তার বিষয়, আমি এখনো উপার্জন করতে পারি না। এখন চাকরি খুঁজতে হবে।
জানা যায়, ইতির সঙ্গে রনির প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রেম চলাকালীন এক পর্যায়ে তারা গোপনে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুইজনই। গোপন বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মমতার সঙ্গে। প্রেমের সূত্রে মমতার সঙ্গে রাতে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ে যান রনি।
গত ১৩ এপ্রিল মমতা ও রনির বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে আগের স্ত্রী ইতি রনির বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এরপর বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন পরিবারের উপস্থিতিতে ঘটা করে পারিবারিকভাবে এক বরের সঙ্গে দুই প্রেমিকার বিয়ে দেন।
এ বিষয়ে রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মন বলেন, আমরা তিন পরিবার মিলে তাদের বিয়ে দিয়েছি। আমি আমার দুই বৌমাকে মেনে নিয়েছি। আমার ছেলের কোনো চাকরি না থাকায় এবং বেকার থাকায় একটু সবাই সহযোগিতা করেন। আমার ছেলে যেন একটা চাকরি বা কিছু করতে পারে। তাদের জন্য সবাই দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন।