এক সময় যে ক্রিকেটার কলকাতার দাগ আউটে বসে সময় পার করতো সেই আজ দিল্লি ক্যাপিটালসের ভরসার প্রতিক। তাইতো মনে পড়ে সেই কবিতার লাইন, আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে’- ২০২২ আইপিএলে এসে কুলদীপ যাদব হয়তো হেমন্ত মুখার্জির সুরে সুর মিলিয়েছেন।
কেননা ছয় মৌসুম কলকাতা নাইট রাইডার্সে কাটালেও তাকে ধরে রাখেনি দলটি।
কুলদীপ এবার খেলছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে। নতুন দলের জার্সিতে দুর্দান্ত খেলা কুলদীপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দিল্লির প্রধান কোচ রিকি পন্টিং। ২০১৬ সালে কলকাতার জার্সিতে কুলদীপের আইপিএল অভিষেক হয়।
২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত কলকাতার হয়ে ৪৫ ম্যাচে কুলদীপ নিয়েছেন ৪০ উইকেট। তবে ২০২০, ২০২১-এই দুই বছরে কুলদীপের প্রতি ‘অবহেলা’ করেছে নাইট রাইডার্স।
যেখানে ২০২০ সালে পাঁচ ম্যাচ খেলালেও ২০২১ আইপিএলের পুরোটা সময় বাঁহাতি চায়নাম্যান স্পিনার কাটিয়েছেন কলকাতার ডাগ আউটে বসে। সর্বশেষ আসরে কলকাতার জার্সিতে খেলেছেন নারিন, সাকিব এবং বরুণ চক্রবর্তীর মতো স্পিনার।
তারা থাকার পরও কুলদীপকে আরও সুযোগ দেয়া যেতো বলে মনে করেন পন্টিং। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এই অবহেলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন দিল্লির প্রধান কোচ।
প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাকিবকে বিশ্বমানের বলার বলেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পন্টিং বলেন, ‘আমরা নিলাম থেকে তাকে (কুলদীপ) পেতে খুবই আগ্রহী ছিলাম। দিল্লিতে সে ভালো পরিবেশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে। তবে কলকাতায় পর্যাপ্ত সুযোগ সে পায়নি।
এটা ঠিক যে গত দুবছরে কলকাতার স্কোয়াডে সাকিব আল হাসাননের মত বিশ্বমানের স্পিনাররা ছিল। তারপরও কুলদীপকে আরও সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’
পন্টিংয়ের মতে, কুলদীপ শুধু আইপিএল নয়, ভারতের অন্যতম সেরা বোলার। দিল্লির প্রধান কোচের ভাষ্য, ‘সে (কুলদীপ) আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনার। আইপিএলের পাশাপাশি ভারতের জার্সিতেও সে দুর্দান্ত পারফর্ম করছে।’
‘সুখ-দুঃখ পর্যায়ক্রমে আসে’-কুলদীপের সঙ্গে এই প্রবাদটি এখন ভালোভাবে মিলে যায়। ২০২১ আইপিএলে কলকাতার হয়ে একটা ম্যাচও তিনি খেলতে পারেননি। জায়গা পাননি ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের স্কোয়াডেও।
বছর ঘুরতেই এখন সুখের সময় কাটাচ্ছেন কুলদীপ। কলকাতা ছেড়ে দেওয়ার পর দিল্লি কুলদীপকে কিনে নেয় ২ কোটি রুপিতে। রাজধানী শহরের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন এই চায়নাম্যান বোলার।